১৫ দিন ধরে নিখোঁজ আদিবাসী নারী, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন


 
নিখোঁজ আদিবাসী নারীর সন্ধান চেয়ে রাজশাহীতে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ‘সচেতন রাজশাহীবাসী’র ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।

জানা গেছে, সাগরী নামের এক আদিবাসী নারী ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর বাড়ি মহানগরীর শাহ মখদুম থানার পবা নতুনপাড়ায়।

মানববন্ধনে আদিবাসী নেতারা জানান, ‘সাগরী নিখোঁজের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ তাঁর কোনো সন্ধান করতে পারেনি। পুলিশ বলছে তাঁর কাছে ফোন না থাকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা প্রশাসনের কেমন অজুহাত, আমাদের তা বুঝে আসে না। আমরা এত কিছু বুঝি না। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তাঁর সন্ধান চাই।’

নিখোঁজ সাগরীর বাবা শম্ভূ সিং বলেন, তাঁর মেয়ে জীবিকার তাগিদে দুই বাড়িতে কাজ করতেন। ১৩ তারিখে এক বাড়িতে কাজে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। খোঁজ করতে গেলে ওই বাড়ির মালিক জানান, কাজ শেষে মেয়ে বাড়ি ফেরার কথা বলে চলে গেছেন। কিন্তু সেদিন থেকেই তাঁর মেয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেননি।

সাগরীর মা নিরদা রানী বলেন, তাঁরা এই ঘটনায় শাহ মখদুম থানায় নিখোঁজের এক দিন পর ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। কিন্তু ১৫ দিন পার হলেও তাঁর খোঁজখবর দেয়নি পুলিশ।

মানববন্ধনে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের রাজশাহী শাখার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, উদীচী রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক ব্রজেন্দ্রনাথ প্রামাণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

আইসিসির আম্পায়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে চম্পা চাকমা



আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এর আম্পায়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে নিজের নাম লিখে কীর্তি গড়লেন রাঙ্গামাটির চম্পা চাকমা। এবার বাংলাদেশী যে চারজন নারীকে আইসিসি তাদের আম্পায়ারিং ডেভেলপমেন্টে যুক্ত করেছেন সেই চারজনের একজন তিনি।

শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চম্পা চাকমা ছাড়াও বাকি তিনজন হলেন সাথিরা জাকির, রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানী।

এছাড়াও আইসিসি ম্যাচ রেফারিদের আন্তর্জাতিক প্যানেলে ম্যাচ রেফারি সুপ্রিয়া রানী সুযোগ পেয়েছেন।

আইসিসির আম্পায়ারিং ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে জায়গা করে নেওয়া আম্পায়ার চম্পা বলেন, ‘আমি অনেক গর্বিত। কঠোর পরিশ্রম করেছি। সবাইকে ধন্যবাদ। এমনিতে সরকারি চাকরি করি পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। সেখানেও সহায়তা পেয়েছি। বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ম্যাচ করা। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

রাঙ্গামা‌টি সদ‌রের সাপছ‌ড়ি ইউনিয়‌নের বাসিন্দা চম্পা চাকমা। সর্বশেষ ২০১৭ সালে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের জার্সিতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন। রাঙ্গামাটির ৩০ বছর বয়সী জাতীয় দলের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার আম্পায়ারিংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। 

জিএসএফ মধুপুর শাখার ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন

গারো স্টুডেন্ট ফেডারেশন (জিএসএফ) মধুপুর উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন করা হয়েছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রলয় নকরেক ও সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিল কমিটির অনুমোদন দেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ), সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটিতে সহ-সভাপতি ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৭ জন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ৫ জনকে।  

A.chik a.song tang.bangchina, A.chik Ma.ko salangchina স্লোগানকে ধারণ করে সংগঠনটি আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে।

কমিটিতে যারা এসেছেন সকল সংগ্রামী সহযোদ্ধাদের বিপ্লবী অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে জিএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়, আপনাদের বিপ্লবী চেতনায় শোষিত, নিপীড়িত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রাম দীর্ঘজীবী হবে, এই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।

এরআগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে জিএসএফ মধুপুর উপজেলা শাখার ছাত্র সম্মেলন ও কাউন্সিল হয়। এতে সভাপতি হিসেবে তুষার নেকলা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অজয় চিসিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে সুস্ময় মাংসাং নির্বাচিত হন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা আছেন— 







পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নামে ২ পাহাড়ি গ্রাম উচ্ছেদ বন্ধের দাবি



রাঙ্গামাটির জুড়াছড়ি ও বিলাইছড়ির সীমান্তবর্তী দুটি আদিবাসী গ্রামে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নামে উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে ছাত্র—যুব সংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ), ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে জানানো হয়, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্দেশ্যে জোর-জবরদস্তিমূলকভাবে গাছবাগান পাড়া ও থুমপাড়ার অধিবাসীদের উচ্ছেদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দুটি গ্রামের জুম্ম অধিবাসীদের জীবিকার প্রধান অবলম্বন জুমচাষে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক অং শোয়ে সিং মারমা বলেন, সীমান্ত সড়কের পাশে পর্যটনের নামে দুটি পাহাড়ী গ্রামকে উচ্ছেদ করার জন্য সেনাবাহিনী পায়তারা চালাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষের প্রধান জীবিকা জুম চাষ। এখন জুম চাষ, হলুদ চাষ, আদা চাষ যদি করতে না দেয়, তাহলে আদিবাসীদের জীবনমান কেমন হবে তা আপনারা ভাবুন।

এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, আমরা কেউ উন্নয়ন বিরোধী নই, পর্যটনের বিরোধী নই। কিন্তু পর্যটনের নামে যদি আমাদের উচ্ছেদ করা হয়, আমরা সেই উন্নয়নের বিরোধী।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি জগদীশ চাকমা বলেন, পাহাড়ীদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে উন্নয়ন করাকে আমরা উন্নয়ন হিসেবে দেখি না। ভুক্তভোগী পাহাড়ীদের গ্রেপ্তার করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি গৌতম শীল বলেন, পাহাড়ী জনগোষ্ঠী হাজার বছর ধরে জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। আর তা বন্ধ করার জন্য অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। একটি রাষ্ট্র যখন তার সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে সমান চোখে দেখে না তা খুবই লজ্জাজনক। দুঃখ হলেও সত্যি যে আজকে সেনাবাহিনী উন্নয়নের নামে পাহাড়ীদের ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। উন্নয়নের নামে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।

বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন বলেন, যেকোনো উন্নয়ন সেটা জনবান্ধব হতে হবে। সাজেকের লুসাইদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, চিম্বুক পাহাড়ে ম্রোদের উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া করা হয়েছিল। আমরা তা বন্ধ করতে পেরেছি। একধরনের ব্যবসায়িক গোষ্ঠী লুট করে যাচ্ছে আর সরকার তা করার জন্য সহযোগিতা প্রদান করবে তা আমরা হতে দিব না।

সভাপতির বক্তব্যে তৌহিদুর রহমান তৌহিদ বলেন, পাহাড়ীদের উচ্ছেদ করার যে অভিযান চালানো হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের আদিবাসীদেরকে সমান অধিকার দিতে হবে।

সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত প্রতিবাদকারীরা মিছিল করেন। 

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে: আমীর খসরু

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল ৪টায় বান্দরবান শহরের হিলভিউ কনভেনশন হলে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক কর্মী সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ভোটের অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকারের জন্য মানুষ সংগ্রাম করছে। আমরা জনগণের বিজয় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

দেশের দ্রব্যমূল্যে নিয়ে আমির খসরু আরো বলেন, বাজার ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনা একটি গোষ্ঠীর হাতে নিয়ন্ত্রিত হয়ে রয়েছে। সর্বত্র লুটপাট ও দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। এসবের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ফুঁসে উঠেছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি মাম্যাচিং এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মী সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুসাই মং মার্মা, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দীন তুষার প্রমুখ।

এছাড়া কর্মী সমাবেশে বান্দরবানের সাত উপজেলার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

বিনা ভাড়ায় স্কুলশিক্ষার্থীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন সুসময় চাকমা



ভাড়া কম পাবেন দেখে স্কুল শিক্ষার্থীদের যেখানে গাড়িতে তুলতে অনেক চালকই অনাগ্রহী, সেখানে একদমই ব্যতিক্রম সুসময় চাকমা। খাগড়াছড়ির সিএনজি চালিত এ অটোরিকশা চালক বিনা ভাড়ায় স্কুল শিক্ষার্থীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন।

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা, সাজেকসহ বিভিন্ন সড়কে সিএনজি চালিয়ে তিনি সংসার চালান। তবে যাত্রাপথে কোন শিক্ষার্থীকে দেখলে বিনা ভাড়ায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন। কখনো স্কুলে যেতে, কখনো বা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, যাদের অর্থ নেই তাদেরও গন্তব্যে পৌঁছে দেন।

ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠা সুসময় চাকমা নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন।

সুসময় চাকমা বলেন, পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে হেঁটে পাহাড়, ছড়া পেরিয়ে মূল সড়কে আসে। তারপর আবার গাড়ির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। আর সব গাড়ি শিক্ষার্থীদের নিতেও চায় না। এসব দেখে আমার অনেক মায়া হয়। তাই গাড়ি চালানোর সময় সড়কের পাশে স্কুলড্রেস পরা শিক্ষার্থী দেখলে আমি বিনা ভাড়ায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিই।

স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুসময়ের সংসার। বড় ছেলে সৌম্মক সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ে ইয়ানার বয়স চার বছর।

স্নাতক সম্পন্ন করা সুসময় চাকমা ঢাকার একটি স্বনামধন্য গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে সহকারী ব্যবস্থাপক পদে চাকরি করতেন। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। ২০২১ সালে বাবা ভুবন মোহন চাকমার মৃত্যুর পর মা নোনাভি চাকমা একা হয়ে যান।

সবশেষ ২০২২ সালে মায়ের জন্য ৭০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে খাগড়াছড়িতে স্থায়ী হন। এরপরই তিনি সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালান।

সুসময়ের বিনা ভাড়ার সুবিধা কেবল শিক্ষার্থী নয়; পর্যটকসহ সব পেশার মানুষ পেয়েছেন। প্রতি বছর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন তিনি বিনা ভাড়ায় সারাদিন গাড়ি চালিয়ে থাকেন। সেদিন তার গাড়িতে যে যাত্রীরা ওঠেন, কারো কাছ থেকেই তিনি ভাড়া নেন না। 

বাগাছাসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন (তালিকাসহ)




জাতীয় গারো ছাত্র সম্মেলন ও কাউন্সিলের ৫ মাস পর বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের (বাগাছাস) পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ), সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেডক্লিফ ডিব্রা ও সাধারণ সম্পাদক প্যাট্রিক চিসিম পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে ১৭ জনকে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৬ জন এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে ১০ জনকে।

এরআগে, গেল বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বাগাছাসের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হয়। এতে সভাপতি হিসেবে রেডক্লিফ ডিব্রা, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্যাট্রিক চিসিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নিকসেং চিসিম নির্বাচিত হন। 

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে যারা আছেন






পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকায় গণসংযোগ



পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন। চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে দেশবাসীকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই গণসংযোগ ও প্রচার কর্মসূচি শুরু হয়। নেতৃবৃন্দ পুরানা পল্টন মোড় হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় ও পরে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে কর্মসূচি শেষ করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাকির হোসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘দেড় বছর ধরে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এই চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করে আসছি।’

জাকির হোসেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো—পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময় সূচিভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে চুক্তির দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড়ে সামরিক কর্তৃত্ব ও পরোক্ষ সামরিক শাসনের স্থায়ী অবসান করতে হবে। আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক করা এবং স্থানীয় শাসন নিশ্চিত করতে পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক এসব পরিষদের যথাযথ ক্ষমতায়ন করতে হবে এবং পার্বত্য ভূমি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনকে কার্যকরের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ও ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের পুনর্বাসন করে তাঁদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মূল স্রোতধারার অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক দুটি দাবি তুলে ধরা হয়। তা হলো ইউনিয়ন পরিষদসহ সর্বস্তরের স্থানীয় সরকারে সমতলের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ আসন সংরক্ষণ এবং তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাঁদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।

এই কর্মসূচিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহিল কাইয়ুম, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসাধারণ সম্পাদক গজেন্দ্র নাথ মাহাতো, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির স্টাফ সদস্য অনন্ত বিকাশ ধামাই প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

‘জুমিয়াদের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিয়ে পর্যটনকেন্দ্র করা হচ্ছে’



রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী দুটি আদিবাসী গ্রামের বসতি উচ্ছেদের জন্য সেনাবাহিনী থেকে নির্দেশনা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জুরাছড়ি-বিলাইছড়ির গাছবাগান পাড়া ও থুমপাড়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে রাঙ্গামাটির ডিসি অফিসের সামনে এ মানববন্ধন হয়।

মানবন্ধনে ফারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা সজল চাকমার সঞ্চলনায় স্মারকলিপি পাঠ করেন বৃষ্টি চাকমা। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন থুমপাড়ার বাসিন্দা মদন বিকাশ চাকমা, দুলু পাড়ার বাসিন্দা পূণ্য রানী চাকমা।

থুম পাড়ার বাসিন্দা মদন বিকাশ চাকমা বলেন, ‘আমরা জুম করতে পারছি না। নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদের জমি ও বাগানগুনো দখল করেছে। জুম করতে না পারলে কীভাবে বাঁচবো আমরা?’

দুলু পাড়ার বাসিন্দা পূণ্য রানী চাকমা বলেন, ‘আমাদের পাড়াগুলোতে জুম করতে দেওয়া হচ্ছে না। বাগান, সহায়-সম্পত্তি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন যদি না থাকে কীভাবে বাঁচবো?’

সংহতি বক্তব্যে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন চলছে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই উন্নয়নে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যদি জীবনের মানোন্নয়ন না হয় তাহলে সেটা কীসের জন্য? আজকে যারা ভূমি হারাতে বসেছে তারা নিজেদের বোবা কান্না গুলো শোনাতে এসেছে। এটা তাদের জীবন মরণের বিষয়। তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই কেড়ে নিয়ে পর্যটন করা হচ্ছে তাহলে সেটা কীসের উন্নয়ন?।’

তিনি আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মূল নির্যাস হলো পাহাড়ী জনগণের জীবন-জীবিকা ও অস্তিত্ব সংরক্ষণ করা। কিন্তু সরকার পার্বত্য চুক্তিকে পাশ কাটিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো উন্নয়নের নামে আগ্রাসন চালাচ্ছে।’

সভাপতির বক্তব্যে দুলু পাড়ার কার্বারি অজিত কুমার চাকমা বলেন, ‘আমরা দুই গ্রামবাসী অনেক কষ্টে আছি। আমাদেরকে গ্রাম ছেড়ে যেতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। হলুদ, আদা, কলা ইত্যাদি চাষ করে পেট চালাই। এখন যদি আমাদের ভূমি চলে যায়, জুম করতে না পারি কীভাবে বাঁচবো?’

মানবন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে সংহতি বক্তব্য প্রদান করেন পিসিপির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উলিসিং মারমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ইন্টু মনি তালুকদার প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে পাড়াবাসি, রাঙ্গামাটি শহরের সুশীল সমাজ ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় ডিসি সমস্যা সমাধানে যথাযথ চেষ্টা চালাবেন বলে নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন। 

মধুপুরে চলেশ রিছিলের ১৭তম হত্যা বার্ষিকী পালিত

ছবি: বাগাছাস

স্টাফ রিপোর্টার: টাঙ্গাইলের মধুপুরে আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের ১৭তম হত্যা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ), উপজেলার মাগন্তিনগর গ্রামে শহীদের কবরে বিভিন্ন আদিবাসী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এই দিন বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস), আজিয়া, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু), মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, নারী নেত্রী যষ্ঠিনা নকরেক সহ সর্বস্তরের জনগণ শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

চলেশ রিছিল মধুপুর ইকোপার্ক বিরোধী আন্দোলনের প্রথম সারির একজন নেতা ছিলেন। যার কারণে তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন। ২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ময়মনসিংহের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মধুপুর আসার সময় ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার কালীবাড়ী থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা।

তাকে আটক করে মধুপুরের বিএডিসির সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। দফায় দফায় নিষ্ঠুর নির্যাতনে চলেশ রিছিল বিকেলের দিকে নিথর হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চলেশ রিছিল হত্যার দীর্ঘ ১৭ বছরেও আজও মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়নি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

হত্যা দিবস উপলক্ষে মাগন্তিনগরে পারিবারিকভাবে প্রার্থনা, শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় আদিবাসী নেতারা চলেশ রিছিল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। 

১৭ বছরেও চলেশ রিছিল হত্যার মামলা নেয়নি পুলিশ


আজ ১৮ মার্চ। মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের হত্যা দিবস। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে এই গারো নেতার মৃত্যুর ঘটনায় ১৭ বছরেও রেকর্ড হয়নি কোনো হত্যা মামলা। আলোর মুখ দেখেনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন। একাধিক মন্ত্রী চলেশ রিছিল বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ কথা রাখেন নি।

এ নিয়ে গারো নেতৃবৃন্দ ও চলেশের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বন মামলা সহ অন্য অনেক ইস্যুর ভিড়ে চলেশের ফাইলও চাপা পড়ে গেছে।

২০০৩ সালের মাঝামাঝিতে ‘ফরেস্ট কনজারভেশন অ্যান্ড ইকোট্যুরিজম’ প্রকল্পের আওতায় মধুপুর গড়ের তিন হাজার একর বনভূমির চারপাশে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই দেয়াল নির্মিত হলে ঐতিহ্যগত অধিকার হারানোর আশঙ্কায় আদিবাসীরা আন্দোলন শুরু করে। সেই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা চলেশ রিছিল।

২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি আদিবাসীদের বিক্ষোভ মিছিলে বনরক্ষী ও পুলিশ গুলি চালালে পীরেন স্নাল নামের এক গারো যুবক নিহত হন। আহত হন ২৫ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এই ঘটনার পর আন্দোলন তীব্রতর হলে জোট সরকার প্রাচীর নির্মাণকাজ বন্ধ রাখে।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। সারা দেশে মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মধুপুরের কাকরাইদ এলাকায় বিএডিসির বীজ উৎপাদন খামারে সেনাক্যাম্প স্থাপন করে। এই সুযোগে বন বিভাগ প্রাচীর নির্মাণে উদ্যোগী হয়ে ওঠে। বন বিভাগ দ্রুত গতিতে দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করে।

আদিবাসী নেতারা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। জাতীয় কয়েকটি পত্রিকা সংবাদটি প্রকাশ করলে দেশে-বিদেশে আলোচনার ঝড় শুরু হয়। এমন পরিস্থিতি সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সি এস করিম সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের নির্দেশ দেন।

কিন্তু বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেনা শাসনের সময় বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষান্ত থাকেনি। আন্দোলনকারীদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি শুরু করে।

২০০৭ সালের ১৮ মার্চ ময়মনসিংহের একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মধুপুর যাওয়ার সময় চলেশ রিছিল, প্রতাপ জাম্বিল, তুহিন হাদিমা, পীরেন সিমসাংকে বেলা ২টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মুক্তাগাছা উপজেলার কালীবাড়ী থেকে তুলে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা। তাঁদের আটক করে মধুপুরের বিএডিসির সেনাক্যাম্পে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। দফায় দফায় নিষ্ঠুর নির্যাতনে চলেশ রিছিল বিকেলের দিকে নিথর হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মধুপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তৎকালীন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘চলেশকে গ্রেপ্তার করতে গেলে দৌড়ে পালানোর সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে জ্ঞান হারান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।’

এ ঘটনায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তৎকালীন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে মধুপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ময়নাতদন্তের পর ১৯ মার্চ চলেশের মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করে। ২০ মার্চ তাঁকে সমাহিত করার পর চলেশ রিছিলের স্ত্রী সন্ধ্যা সিমসাং বাদী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বন বিভাগের সদস্যদের নাম উল্লেখ করে মধুপুর থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন।

মধুপুর থানা-পুলিশ ওই এজাহার নিয়ম মাফিক গ্রহণ করলেও মামলা রেকর্ডভুক্ত করেনি। কারণ হিসেবে ওসি রিয়াজ উদ্দিন উল্লেখ করেছিলেন, ‘যেহেতু ইউডি মামলা হয়েছে, তাই একই ঘটনায় অপর মামলা রেকর্ডভুক্ত করা যায় না।’

গারো রীতি অনুযায়ী শেষকৃত্য করার পূর্বে চলেশের গোসল করানো হয়। এই কাজে সম্পৃক্ত শষিণ দালবত, জয়ন বাজি ও কলেশ রিছিল ২৪ মার্চ লিখিতভাবে চলেশের ওপর নির্যাতনের বর্ণনা উপস্থাপন করেন।

তাঁরা উল্লেখ করেন, ‘চলেশের হাতের ওপরের অংশ সম্পূর্ণ চুরমার করা হয়েছে। হাতের তালুতে ছিদ্র ছিল। হাত ও পায়ের আঙুলে নখ ছিল না। পিঠের পুরো অংশ এবং নিতম্বে আঘাতের কারণে রক্তের জমাট ছিল। অণ্ডকোষ মাংসের সঙ্গে মিশে গেছে। হাঁটুর নিচে অসংখ্য আঘাতের দাগ ও দুটি পায়ের তালু ছিল কালো।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ৫ মে অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিউদ্দিনের নেতৃত্বে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। তিনি তদন্ত করেন। চলেশের লাশ দ্বিতীয় দফায় উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রফিউদ্দিনের সেই তদন্ত কার্যক্রমের ফলাফল আজও আলোর মুখ দেখেনি।

দীর্ঘ ১৭ বছরে আন্দোলন থেমে গেছে। মামলা আজও রেকর্ডভুক্ত হয়নি। বিচার বিভাগীয় তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। এ নিয়ে আদিবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

চলেশের স্ত্রী সন্ধ্যা সিমসাং বলেন, ‘খ্রিষ্টান ধর্মযাজক ইউজিন হোমরিক বেঁচে থাকলে হয়তো চলেশের বিচারের একটা ব্যবস্থা হতো। আমি এবার মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। নির্বাচনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। ১৮ মার্চ পারিবারিকভাবে প্রার্থনা, শ্রদ্ধা নিবেদন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি অনেক দিন আগের। থানায় কখনো কোনো কাজই ঝুলিয়ে রাখা হয় না। তদন্ত করে কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চলেশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ শেষে ওই সময়ই আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা বিষয়টি অবহিত নই।

বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উদযাপন


যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করলো বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (১৭ মার্চ), রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত কলেজ প্রাঙ্গণে নানা আয়োজন করা হয়।  

বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী।

অনুপ্রেরণার বাতিঘর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও গভর্নিং বডির সভাপতি ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজের অধ্যক্ষ সুদীপ কুমার মণ্ডল, একাডেমিক কাউন্সিলের আহ্বায়ক মো. জাকিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব সুশীল চাকমা এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তাকিয়া মাহমুদা পারভীন প্রমুখ।

প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এ সময় তিনি সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি পড়ার পরামর্শ দেন এবং সবাইকে হৃদয়বান হওয়ার কথা বলেন।

 

তিন আদিবাসী ভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে পরামর্শ সভা


মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তিন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় (খাসিয়া, মনিপুরী মৈতৈ ও মনিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া) শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক দুই দিনব্যাপী পরামর্শ সভা ও লেখক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকায় হোটেল শ্রীমঙ্গল ইন এর সম্মেলন কক্ষে জাবারাং কল্যাণ সমিতির আয়োজনে এ কর্মশালা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাওয়ানকা ফান্ড অব RSF সোস্যাল ফাইন্যান্স এর অর্থায়নে পরিচালিত সঞ্জীবন প্রকল্পের উদ্যোগে এই পরামর্শ সভা ও লেখক কর্মশালা হয়।

জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক বিজয়ী লেখক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার সভাপতিত্বে ও সঞ্জীবন প্রকল্পের সমন্বয়কারী জয় প্রকাশ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু তালেব।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিকুল চক্রবর্তী, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক ২০২৩ প্রাপ্ত মনিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া লেখক-গবেষক ড. রঞ্জিত সিংহ, মনিপুরী মৈতৈ লেখক আয়েকপম অঞ্জু দেবী, খাসি সোশ্যাল কাউন্সিল সভাপতি ও খাসি মান্রী জিডিশন প্রধান সুছিয়াং, আদিবাসী নারী নেত্রী ফ্লোরা বাবলি তালাং প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু তালেব বলেন, ‘নিজ নিজ মাতৃভাষা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ভাষার জাতিগোষ্ঠীকে প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিনিয়ত চর্চা করতে হবে, নিজের মাতৃভাষাকে ভালবাসতে হবে। সরকার এবং উপজেলা প্রশাসন সবসময় তাদের পাশে থাকবে।’

কর্মশালায় অংশ নিয়ে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ নির্ধারিত ৬টি ভাষা মৈতৈ মণিপুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরি, খাসিয়া, তঞ্চঙ্গ্যা, বম ও ম্রো ভাষায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান।

দুইদিনব্যাপী এ পরামর্শ কর্মশালা রবিবার বিকালে শেষ হয়। 

‘ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেদখলে থাকা ১২ বিঘা জমি উদ্ধার হওয়া দরকার’


যেকোন মূল্যে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেদখলে থাকা ১২ বিঘা জমি উদ্ধার হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে দেওয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো মন্দিরের জমি দখল হওয়া সমীচীন নয়। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের বেদখলে থাকা জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই জমি যদি সরকার উদ্ধার করে মন্দির কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়, তাহলে দেশের সম্পদ কমবে না। কারও কোনো ক্ষতি হবে না।

অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবার ঐক্যবব্ধ ভূমিকা জরুরি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে কোনো আপস নয়।

সম্মেলনে সাংবাদিক বাসুদেব ধর-কে সভাপতি ও সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা-কে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের আগামী ২ বছরের (২০২৪-২০২৫) নতুন কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। 

হারল্যান স্টোরের পণ্য কিনে লাখ টাকা জিতলেন আদিবাসী নারী


দেশজুড়ে চলা ‘হারল্যান অথেনটিক বিউটি কার্নিভ্যাল’ ক্যাম্পেইনের পণ্য কিনে লাখ টাকা জিতলেন খাগড়াছড়ির দীঘিনালার প্রবিকা চাকমা নামের এক আদিবাসী নারী। শনিবার (১৬ মার্চ) দীঘিনালা হারল্যান স্টোরের সামনে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে লাখ টাকার চেক তুলে দেন রিমার্ক-হারল্যানের নির্বাহী পরিচালক ও জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন।

গত ১০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে তিনিই প্রথম লাখপতি।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা প্রবিকা চাকমা খাগড়াছড়ির দিঘিনালার বরাদমের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে তার বাসার কাছেই আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে দীঘিনালা হারল্যান স্টোর। নকল ও ভেজাল পণ্য না কিনে নিজের স্কিনের যত্নে অথেনটিক কিছু কেনার জন্য গত ১৪ মার্চ হারল্যান স্টোরে চলে আসেন প্রবিকা। সেখান থেকে ২০৯০ টাকায় একটি অ্যান্টি স্কার জেল কেনেন তিনি। জেলটি কেনার পর তার মোবাইল ফোন নাম্বারটি ‘হারল্যান অথেনটিক বিউটি কার্নিভ্যাল ২০২৪’ এর জন্য রেজিস্ট্রার করা হয় এবং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তার জন্য পুরষ্কার নির্বাচন করা হয়। এতেই তিনি পেয়ে যান মেগা প্রাইজ লাখপতি হওয়ার বার্তা।

পুরস্কার জিতে উচ্ছ্বসিত প্রবিকা চাকমা। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাসই করতে পারিনি যে আমি এক লাখ টাকা জিতে গিয়েছি। উপহারটি পেয়ে আমি অনেক খুশি, আপনারাও হারল্যান স্টোরে এসে ন্যূনতম ২০০০ টাকার পণ্য কিনে জিতে নিতে পারেন ক্যাশ ভাউচার।’

হারল্যান স্টোর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশব্যাপী শুরু করেছে হারল্যান অথেনটিক বিউটি কার্নিভ্যাল। নকল ও ভেজাল পণ্যের অপকারিতা সম্পর্কে ক্রেতাদের জানানোর মাধ্যমে অথেনটিক পণ্যের প্রচার ও প্রসারই এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। সারা দেশে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের জন্য থাকছে অথেনটিক পণ্য কিনে লাখ লাখ টাকার পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ। 

পার্বত্যাঞ্চলে কমছে শিশুর উচ্চতা


পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবহারে সচেতনতার অভাবে শিশুর শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার শিশুদের বয়স অনুযায়ী যে উচ্চতা ও ওজন থাকার কথা, সে অনুযায়ী কম আছে।

সম্প্রতি ঢাকার সিরডাপে ‘অ্যাডভান্সিং নিউট্রিশন কমিটমেন্ট ফর চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন তথ্য জানানো হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ও লিন প্রকল্প এ বৈঠকের আয়োজন করে।‍

বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা জানান, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ৫৯ ও ৫৭ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার ও পানি পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারি উদ্যোগে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. রুহুল আমিন তালুকদার জানান, গত ২০ বছরে বাংলাদেশের শিশু পুষ্টির বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে জাতীয় ও বিভাগীয় অবস্থার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিশুদের পুষ্টির অবস্থা বেশ খারাপ। অপুষ্টির কারণে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি জেলার শিশুদের বয়স অনুযায়ী যে উচ্চতা ও ওজন থাকার কথা, তার থেকে কম আছে। জাতীয় ও বিভাগীয় জেলাগুলোয় ৯৯ ও ৯৭ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার ও পানি পেলেও রাঙামাটি-বান্দরবানে পাচ্ছে ৫৯ ও ৫৭ শতাংশ মানুষ।

বৈঠকে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান। অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার। 

ইবিতে জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তিন পার্বত্য জেলার (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সংগঠনটির সদ্য সাবেক সভাপতি মিলন জ্যোতি চাকমা ২৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা করেন।

এতে সভাপতি হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাবিল চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পংকজ চাকমা মনোনীত হয়েছেন।

কমিটির অন্যান্য পদে মনোনীত সদস্যরা হলেন— সহ-সভাপতি চিনুমং মারমা, উথান্ট উইন, অনোমা চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক কোকো সাইন মারমা, চয়নিকা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মংক্যচিং মারমা, বাবলু মারমা, সূচনা ত্রিপুরা, অর্থ সম্পাদক পিকাসু চাকমা, সহ-অর্থ সম্পাদক দিভাস বসু চাকমা প্রমুখ।

লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফলিন্দ্র ত্রিপুরা, খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক নুমংসিং মারমা, উন্মেষ চাকমা, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক চাইন্দাওয়াং মারমা, তথ্য প্রচার ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মন্টু চাকমা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জুলিয়া চাকমা।  

এছাড়া কার্যকরি সদস্য হিসেবে সদায় মানিক ত্রিপুরা, পহেল চাকমা, আবির চাকমা, হ্যাপী চাকমা, জয়ন্ত চাকমা, মংসিনু মারমা এবং অংক্যহ্লা খুমি মনোনীত হয়েছেন।

সংগঠনটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, ভর্তি সহযোগিতা সহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংগঠনটির মাধ্যমে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়াস পায়। 

বাবা-মাকে বড় ঘর বানিয়ে দিতে চান সাফজয়ী থুইনুই


পার্বত্য জেলা রাঙামাটির মেয়ে থুইনুই মারমা। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে উঁচিয়ে ধরেছেন সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। ভুটান ও ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জালে বল পাঠিয়েছিলেন এ কিশোরী। তবে এখানেই থেমে যেতে চান না এই পাহাড়ি কন্যা। এগিয়ে যাওয়ার পথে স্বপ্নপূরণের সঙ্গে মা-বাবার স্বপ্নটাও পূরণ করতে চান।


নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেননি থুইনুই। পরীক্ষার হলে বসতে না পারার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। বলেছেন, ‘ফাইনাল ম্যাচটা আসলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। চিন্তাভাবনা ছিল শিরোপা জিতে দেশে ফিরব। আসলে শেষ মুহূর্তে যখন বাঁশিটা দিল, তখন অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। কারণ আমি এসএসসি পরীক্ষা দেইনি। দেশের হয়ে খেলবো বলে।’

‘যখন শেষ মুহূর্তের বাঁশিটা বাজলো তখন দেশের কথা, মা-বাবার কথাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছিল। আমি যে পরীক্ষাটা দিতে পারিনি, সেই আক্ষেপটাও ভুলে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে সেটারই ফল পেয়ে গেছি। আফসোস হতো যদি চ্যাম্পিয়ন না হতাম। সেদিক থেকে এখন আর কোনো আফসোস নেই, কারণ এসএসসি পরীক্ষা না দিলেও দেশকে কিছু একটা দিতে পেরেছি।’

পরিবার সম্পর্কে থুইনুই বলেছেন, ‘আমরা তিন বোন, দুই ভাই। আমার বাবা কৃষিকাজ করেন, আর মা বাসায় কাজ করেন। আমার ভাই পড়ালেখা শেষ করেছে, তবে বাসাতেই থাকে। আর বড় দিদির বিয়ে হয়েছে, তিনিও আমাদের সঙ্গেই থাকেন।’

ফুটবলার হওয়ার পেছনেও রয়েছে পরিবারের অবদান। এ নিয়ে থুইনুই জানান, ‘আমার মা-বাবা আমাকে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ দিতেন খেলাধুলার প্রতি। আমাকে এমনও বলতেন যে, লোকে যা বলে বলুক তাতে কিছুই যায় আসে না। মূলত ২০১৮ সাল থেকে আমার খেলাধুলা শুরু হয়।’

‘আমার মা-বাবার জন্য ভবিষ্যতে অনেককিছুই করতে চাই। নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চাই। এরমধ্যে একটা স্বপ্ন হচ্ছে নিজের মা-বাবাকে বড় একটি ঘর বানিয়ে দিতে চাই। কারণ আমাদের ঘরটা তেমন ভালো নয়।’

সামনেই আসছে মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই। এ উপলক্ষে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন থুইনুই। উৎসবমুখর এই সময়টাতে মা-বাবার সঙ্গে থাকতে চান সাফজয়ী এই পাহাড়ি কন্যা। 

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কবি অরণ্য চিরান


জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ও লেখক অরণ্য চিরান। সমাজ বা জনসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি ছাড়াও আরো ৯ জন এবার স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।

বাকি পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন—স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গারো জনগোষ্ঠীর লেখক-সাহিত্যিকদের মধ্যে অরণ্য চিরান অন্যতম। তাঁর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে গারো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উষ্ণ অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। 

গবিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) ক্যাম্পাসের আম বাগান চত্বরে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, ‘বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় কী ভূমিকা পালন করছে, এ বিষয়ে দ্রুতই গবেষণার কাজ শুরু করা হবে।’

গবির ইংরেজি বিভাগের ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্লামংউ মারমা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা দিয়ে আলোর পাহাড় গড়বো। আমরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ার পরেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। কারণ হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিক্ষাবৃত্তি সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এই সুবিধা যদি কয়েকটা বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সকল বিভাগে ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমরা টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়ার সুবিধা পেতাম।’

বাংলা বিভাগের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী বুদ্ধেন্দু চাকমা বলেন, ‘যখন আমাদের উপজাতি পরিচয় দেয়া হয়, তখন নিজেকে ছোট মনে হয়। আমাদের আদি পুরুষরা এদেশে বসবাস করে আসছে। আমরা চাই, আমাদের আদিবাসী পরিচয় দেয়া হোক। এতে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারবো।’

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের এ মিলনমেলায় নানা ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়; যার মধ্যে ছিল হাড়ি ভাঙ্গা, র‍্যাফেল ড্র, বালিশ নিক্ষেপ। বর্তমানে গবিতে ৩৫ জনের অধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। 

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলে খেলছেন সাথী মুন্ডা


লাল সবুজের জার্সি গায়ে দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের হয়ে খেলছেন মুন্ডা জনজাতির মেয়ে সাথী মুন্ডা। প্রচন্ড দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়া এ কিশোরী এখন শুধু পরিবার নয়, বরং প্রতিনিধিত্ব করছেন সমগ্র দেশের প্রতিনিধিত্ব।

অস্তিত্ব সংকটে থাকা মুন্ডা জনজাতির একজন সদস্য হয়েও শ্যামনগর উপকূলের সাথীর হাতে এখন লাল সবুজের পাতাকা। যা স্বাভাবিকভাবেই গর্ব করেছে আদিবাসীদের।

আজ বিকেলে নেপালের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নারী ফুটবল দল অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে লড়েছেন পনেরো বছরের এ কিশোরী।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি এলাকার প্রদীপ মুন্ডা ও প্রতিমা মুন্ডার মেয়ে তিনি। বর্তমানে বিকেএসপিতে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এ কিশোরী স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দু’বছর আগে বিকেএসপিতে পাড়ি জমায়।

সাথীর পিতা প্রদীপ মুন্ডা জানান, মেয়ের অর্জনে তারা শুধুমাত্র পরিবার না, বরং গোটা মুন্ডা জাতি ও এলাকাবাসী দারুণ খুশি।

সাথীর মা প্রতিমা মুন্ডা জানান, অভাবের কারণে তারা স্বামী-স্ত্রী কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। সে সুযোগে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাথী স্থানীয় বিজি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলতেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশিক্ষক মাসুম বিল্লাহর চোখে পড়লে তিনি সাথীর দায়িত্ব নেন। প্রায় দু’বছর প্রশিক্ষণের পর বিকেএসপিতে সুযোগ মিলে যাওয়ায় তারা রীতিমত বিস্মিত হন। এখন মেয়ে দেশের জার্সি গায়ে চড়িয়ে মাঠে নামছেন জেনে আনন্দে ভাসা হারিয়ে ফেলছেন।

সাথীর প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী মাসুম বিল্লাহ জানান, ২০২৩ সালে সাথী অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে দেশের হয়ে ভারতের সুব্রত কাপে খেলেছে। দেশের হয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে সে নেপালে রয়েছে।

এদিকে, বাবা প্রদীপ মুন্ডা দেশের সকল মানুষের কাছে মেয়ে সাথীর জন‍্য দোয়া ও আর্শিবাদ চেয়েছেন।

পিসিপি’র সাবেক সভাপতি থুইক্যচিং মারমার পিতা আর নেই


পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক সভাপতি থুইক্যচিং মারমার পিতা ক্যশৈপ্রু মারমা আর নেই। আজ শনিবার (২ মার্চ) ভোর রাত ৪টা ১৫ মিনিটে বান্দরবান সদর উপজেলার ক্রাইক্ষ্যং পাড়ার নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

ক্যশৈপ্রু মারমা ১৯৩৮ সালের ২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালে বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছা ইউনিয়নের মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তাঁর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। থুইক্যচিং মারমা হলেন সবার ছোট।

ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা, সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান থুইক্যচিং মারমার পিতা ক্যশৈপ্রু মারমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

© all rights reserved - Janajatir Kantho