সংস্কৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সংস্কৃতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কবি সুবর্ণা পলি দ্রং’র প্রথম কাব্যগ্রন্থের পাঠ উন্মোচন

 


গারো জাতিসত্তার কবি লেখক সুবর্ণা পলি দ্রং এর প্রথম কাব্যগ্রন্থপরিযায়ী পাখি পাঠ উন্মোচন হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে), বিকেলে কমিউনিটি ট্রাস্ট ময়মনসিংহ ফোরাম হল রুমে পাঠ উন্মোচন হয়।

থকবিরিম প্রকাশনী বাংলাদেশ আচিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদ যৌথভাবে পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আবৃত্তিকার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আচিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি অরণ্য চিরান (স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত)

আলোচক হিসেবে কবি আবু সাইদ কামাল, কবি মিজানুর রহমান টিটু, কবি মিঠুন রাকসাম, সালেসিয়ান সিস্টার্স নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার লিয়া দ্রং উপস্থিত ছিলেন। এসময় আলোচনা কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনেকেই কবিকে উৎসাহ যুগিয়েছেন।

পরিযায়ী পাখি কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশনী থকবিরিম।

সুবর্ণা পলি দ্রং গারো জাতিসত্তার লিখিয়েদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি শৈশবকাল থেকেই লেখালেখি করেন। প্রথমে তার কবিতা লেখালেখির প্রতি ঝোঁক থাকলেও পরে তিনি ছোটগল্প লেখার দিকে মনোযোগ দেন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ছোট কাগজে কবিতা সহ তার লেখা অনেক কিছুই ছাপা হয়েছে।

বুনোফুল তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। ইতিমধ্যে তিনি অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ করেছেন। 

জাক’র নতুন সভাপতি শিশির চাকমা-সম্পাদক সুখেশ্বর চাকমা

 


পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিলের (জাক) নতুন নীতি নির্ধারণী পর্ষদ গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমাকে সভাপতি ও সুখেশ্বর চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

আজ রোববার জাক’র ফেইসবুক আইডি থেকে এই তথ্য জানা যায়। জানা গেছে, গত ১০ মে জাক’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০২৫-২৭ সালের মেয়াদের জন্য ৭ সদস্যের নীতি নির্ধারনী কমিটি (নীনিক) ও ২৯ সদস্যের কার্যনির্বাহী পর্ষদ গঠন করা হয়।

নীতি নির্ধারণী কমিটিতে শিশির চাকমা ছাড়াও ঝিমিত ঝিমিত চাকমা, শান্তিময় চাকমা, হীরালাল চাকমা, সুখেশ্বর চাকমা, রনেল চাকমা ও পূর্ণা চাকমা রয়েছেন। এই নীতি নির্ধারণী কমিটি সংগঠনটির যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের লক্ষে ১৯৮১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন সাহিত্য-সংস্কৃতিমনা তরুণ জুম ঈসথেটিকস কাউন্সিল (জাক) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে সংগঠনটি ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে।

প্রথমবারের মত আয়োজিত নজরুল কনসার্টে গাইবে এফ মাইনর

 


দেশে প্রথমবারের মত নজরুল কনসার্ট আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। আগামী ৩০ মে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আয়োজিত এই কনসার্টে দেশের প্রথমসারির ৯টি ব্যান্ড দলের সঙ্গে মঞ্চ মাতাবে নারী ব্যান্ড দল এফ মাইনর।

মূলত, কাজী নজরুল ইসলামের উদ্দীপনামূলক ১০টি গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশ করছে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। অ্যালবামের প্রকাশনা উপলক্ষে কনসার্ট আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এফ মাইনর ছাড়াও অ্যালবামটিতে অংশ নেবে ওয়ারফেজ, সোলস, দলছুট, আর্ক, শিরোনামহীন, ডিফারেন্ট টাচ, এমএনবি, রেবেল, ব্ল্যাক।

কনসার্টে অ্যালবামের ১০টি গান গাওয়ার পাশাপাশি নজরুলের আরও বেশ কয়েকটি উদ্দীপনামূলক গান পরিবেশন করবে ব্যান্ডগুলো। গানের পাশাপাশি থাকবে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি থেকে শুরু করে আরও কিছু আয়োজন।

অ্যালবামটিতে জায়গা পেয়েছে কাজী নজরুল ইসলামেরকারার লৌহ-কবাট, ‘এই শিকলপরা ছল্‌’, ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, ‘জাগো অনশন-বন্দী’, ‘দুর্গম গিরি, কান্তারমরু’, ‘ ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘বাজিছে দামামা বাঁধরে আমামা’, ‘পরদেশী মেঘএবংজয় হোক জয় হোকগানগুলো। কথা, সুর স্বরলিপির নির্দেশনা মেনেই গানগুলো তৈরি হচ্ছে।

নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, গত কয়েক মাসে দেশের সব বড় ব্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ১০টি ব্যান্ডকে নজরুলের উদ্দীপনামূলক গানগুলো রেকর্ড করার দায়িত্ব দিই। ৩০ মে অ্যালবামটি প্রকাশ পাবে, সে উপলক্ষেই এ কনসার্ট। দর্শকেরা বিনা মূল্যে কনসার্টটি উপভোগ করতে পারবেন।

 

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho