ছিঁড়ে পড়া তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে আদিবাসী নারীর মৃত্যু

 


চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদরে ছিঁড়ে পড়ে থাকা তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে লক্ষ্মী মুর্মু (৫১) নামের এক আদিবাসী নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা বাইপাস রেলষ্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত লক্ষ্মী মুর্মু একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চেচুড়াপাড়া এলাকার মন্ডল হেমব্রমের স্ত্রী। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে আমনুরা বাইপাস রেলষ্টেশন এলাকার একটি জমি থেকে খড়ের বোঝা মাথায় করে বাড়িতে ফিরছিলেন লক্ষ্মী মুর্মু। এ সময় সড়কের পাশে ছিঁড়ে থাকা একটি বৈদ্যুতিক তারে অসাবধানতাবশত হাত দিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি।

পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে।

এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন

 


বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২১তম কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৩১ মে), দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) হল রুমে এ কাউন্সিল হয়।

পিসিপি চবি শাখার সভাপতি রোনাল চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ভুবন চাকমার সঞ্চালনায় কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা, চবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা।

কাউন্সিলে পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, নানা অপৎতপরতা রয়েছে, বিশেষ মহলের নির্দেশনায় খুন অপহরণ হত্যা, দমন-পীড়ন, জেল-জুলুম অব্যাহত রেখেছে। এটি পাহাড়িদের ওপর রাষ্ট্রের জাতিগত নিপীড়নের অংশ। রাষ্ট্রের জাতি ধ্বংসের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দয়াসোনা চাকমা বলেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লড়াই সংগ্রাম কখনো মসৃণ ছিলো না। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে শহীদ হয়েছেন। শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক অন্যায়ভাবে মামলা, হামলার শিকার হয়েও পিসিপির লড়াই সংগ্রামকে দমাতে পারেনি। পিসিপি তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যেই আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা অভিযোগ করে বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান শাসকরা আমাদের পাহাড়িদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তার একমাত্র কারণ পাহাড়িরা রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর এবং সংগঠিত না হওয়ার কারণে। ছাত্রসমাজকে তার দায়িত্ববোধকে অনুধাবন করতে হবে। ছাত্রসমাজকে তার দায়িত্ববোধকে বুকে ধারণ করে জুম্ম জনগণের জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে লড়াই সংগ্রামে সমবেত হতে হবে।

সভাপতি রোনাল চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বহু বছর পর চাকসুতে আমরা কাউন্সিল করছি। এ কাউন্সিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্য বহন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান উৎপাদন, বিতরণ ও সম্ভাবনার জায়গা। আমাদের অর্জিত জ্ঞান নিপীড়িত জুম্ম জনগণের কল্যানার্থে পাহাড়ে গিয়ে ব্যয় করতে হবে।

চাকসুতে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদ অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার ভাষা, সংস্কৃতি বিকাশ, চর্চা এবং গবেষণা ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল ও জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাকসুতে সংখ্যালঘু জাতিসত্তা বিষয়ক পদ অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। এছাড়া রেসিজম এবং জাতিগত বুলিং প্রতিরোধেও এই সম্পাদক কাজ করতে পারবে।

কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে শাখার সাংগঠনিক রিপোর্ট তুলে ধরেন পিসিপি চবি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সুদর্শন চাকমা। পুরাতন কমিটি বিলুপ্তি ও প্রস্তাবিত নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সদ্য বিদায়ী সভাপতি রোনাল চাকমা। তিনি ভুবন চাকমাকে সভাপতি ও সুদর্শন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন। 

মাইনীর প্রবল স্রোতে ভেসে চাকমা জনগোষ্ঠীর একজনের মৃত্যু

 


খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় মাইনী নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া তড়িৎ চাকমার (৫৫) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মাইনি নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

তড়িৎ চাকমা দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ইউনিয়নের কেতুচন্দ্র কার্বারি পাড়ার মৃত নন্দলাল চাকমার ছেলে। এর আগের দিন শুক্রবার (৩০ মে) সকালে নদীর বাবুছড়া অংশে ভেসে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে স্রোতের টানে তলিয়ে যান তিনি। ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ সকালে মাইনী নদী থেকে তড়িৎ চাকমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

কবি সুবর্ণা পলি দ্রং’র প্রথম কাব্যগ্রন্থের পাঠ উন্মোচন

 


গারো জাতিসত্তার কবি লেখক সুবর্ণা পলি দ্রং এর প্রথম কাব্যগ্রন্থপরিযায়ী পাখি পাঠ উন্মোচন হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে), বিকেলে কমিউনিটি ট্রাস্ট ময়মনসিংহ ফোরাম হল রুমে পাঠ উন্মোচন হয়।

থকবিরিম প্রকাশনী বাংলাদেশ আচিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদ যৌথভাবে পাঠ উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আবৃত্তিকার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান রুবেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আচিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি অরণ্য চিরান (স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত)

আলোচক হিসেবে কবি আবু সাইদ কামাল, কবি মিজানুর রহমান টিটু, কবি মিঠুন রাকসাম, সালেসিয়ান সিস্টার্স নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার লিয়া দ্রং উপস্থিত ছিলেন। এসময় আলোচনা কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনেকেই কবিকে উৎসাহ যুগিয়েছেন।

পরিযায়ী পাখি কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশনী থকবিরিম।

সুবর্ণা পলি দ্রং গারো জাতিসত্তার লিখিয়েদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি শৈশবকাল থেকেই লেখালেখি করেন। প্রথমে তার কবিতা লেখালেখির প্রতি ঝোঁক থাকলেও পরে তিনি ছোটগল্প লেখার দিকে মনোযোগ দেন। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ছোট কাগজে কবিতা সহ তার লেখা অনেক কিছুই ছাপা হয়েছে।

বুনোফুল তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ। ২০১৭ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। ইতিমধ্যে তিনি অনেকগুলো দেশ ভ্রমণ করেছেন। 

বাগাছাস কলমাকান্দা শাখার নতুন সভাপতি রনি, সম্পাদক সুপার

 

বাগাছাস কলমাকান্দা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি রনি আজিম ও সাধারণ সম্পাদক সুপার রিছিল। (বাঁ দিক থেকে)

বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) কলমাকান্দা শাখার বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (৩০ মে), শুক্রবার নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাতলাবানে এ কাউন্সিল হয়।

এতে সভাপতি হিসেবে রনি আজিম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুপার রিছিল নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন থেংআ চাম্বুগং।

আজকালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়া হবে বলে জনজাতির কণ্ঠকে জানিয়েছেন বাগাছাস কলমাকান্দা শাখার নবনির্বাচিত সভাপতি রনি আজিম।

সম্মেলন ও কাউন্সিলের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্যাট্রিক চিসিম। সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাগাছাস কলমাকান্দা শাখার আহ্বায়ক রনি আজিম।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বাগাছাস কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেফিরাজ দোলন কুবি উপস্থিত থাকতে না পারলেও ফেইসবুকে তিনি নবনির্বাচিত কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নবনির্বাচিত এই নেতৃত্ব গারো ছাত্র সমাজের শিক্ষা, অধিকার, ঐক্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। তোমাদের সাহসী নেতৃত্বের পথচলা হোক আলোকময় ও সফল।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাগাছাস মধুপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রেমা, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু) কলমাকান্দা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিংখেং রেমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কৃষ্ণ হাজংয়ের চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহ্বান বাহাছাসের

 


নেত্রকোনা দুর্গাপুরের বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ হাজং। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানতে পেরেছেন, তাঁর দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষ্ণ হাজং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পরিবারে তার স্ত্রী, এক কন্যা সন্তান এবং বাবা মা আছেন।

অসুস্থ অবস্থায় তিনি কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেন। দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা ডায়ালাইসিসের খরচ জোগাতে গিয়ে কৃষ্ণ হাজং এখন প্রায় নিঃস্ব। তাঁর অব্যাহত চিকিৎসার জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু সেই অর্থের সংস্থান করতে পারছেন না তিনি।

অর্থাভাবে ডায়ালাইসিস করতে না পারায় তিনি নিজ বাড়িতে চলে আসেন।

কৃষ্ণ হাজংয়ের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ হাজং ছাত্র সংগঠন (বাহাছাস) আর্থিক সহযোগিতা উত্তোলনের উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনটি সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। 

সহায়তা পাঠানোর ঠিকানা-

বিকাশ (পার্সোনাল): ০১৯০৩-০৫৯৬৮৯ (বাঁধন হাজং)

নগদ: ০১৩০৬-২৮৮০৩৯ (দীপা রানী হাজং)

ব্যাংক একাউন্ট:

‎Dutch-Bangla Bank ltd.

‎Account Name: Badhon Hajong

‎Account No: 1911580004592

স্বামী বাড়িতে না থাকায় ঘরে ঢুকে আদিবাসী বধূকে ধর্ষণের চেষ্টা!

 

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ আটক আনিসুর রহমা ওরফে বদি। ছবি: সংগৃহীত

ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক আনিসুর রহমান ওরফে বদি। ছবি: সংগৃহীত


খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে এক আদিবাসী গৃহবধূ ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতে উপজেলার মাইসছড়ির জামতলা গ্রামে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নারী দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ৯টার সময় ভুক্তভোগী নারী তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এসময় ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে আনিসুর রহমান ওরফে বদি কৌশলে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়েন। এসময় ভুক্তভোগী তার ১১ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন।

বাড়িতে ঢুকেই আনিসুর রহমান শিশু সন্তানকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এরপর ওই নারীকে টেনেহিঁচড়ে ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী নারী প্রতিরোধের চেষ্টা করেন এবং এক পর্যায়ে চিৎকার দেন। ওই নারীর চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন ছুটে গেলে নিপীড়ক আনিসুর রহমান পালিয়ে যান।

ধর্ষণের চেষ্টাকারী মো. আনিসুর রহমানের বাড়ি মহালছড়ির কালাপাহাড় গ্রামে। তাঁর পিতা চান মিয়া। তিনি বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর একজন সদস্য বলে জানা গেছে।

ধর্ষণ চেষ্টার এই ঘটনা জানাজানি হলে রাতেই চিকিৎসার জন্য ভুক্তভোগীকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। একইভাবে ওই নারীর শিশু সন্তানটিও গুরুতর আঘাত পাওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকেও খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

ঘটনাটি মহালছড়ি থানায় জানানো হলে আজ সকালে পুলিশ আনিসুর রহমানকে আটক করে।

এদিকে, আদিবাসী গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে ধর্ষণের চেষ্টাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডাব্লিউএফ)।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho