বহির্বিশ্ব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বহির্বিশ্ব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা কনরাড কে. সাংমার

 


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা দিলেন মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমা। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের সমন্বয়ে এই ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক জোট গঠনের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘ওয়ান নর্থ ইস্টনামে এক ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের মূল লক্ষ্য উত্তর–পূর্বাঞ্চলের জনগণের স্বার্থ, পরিচয় ও উন্নয়নের দাবিকে একক কণ্ঠে জাতীয় স্তরে তুলে ধরা। যা উত্তর-পূর্বে বসবাসকারী পার্বত্য জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে একটি শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করবে।

এই যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সভাপতি কনরাড কে. সাংমা, ত্রিপুরার তিপ্রা মথা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য, নাগাল্যান্ডের প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র রাজ্যের মন্ত্রী ম্হোনলুমো কিকন, এবং আসামের পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল ল্যাংথাসা।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃত্বরা বলেন, উত্তরপূর্ব ভারতের তরুণ প্রজন্মের নেতারা দীর্ঘদিন ধরে একই ইস্যু উদ্বেগের কথা বললেও তা এসেছে ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে। এখন সময় এসেছে এই সব কণ্ঠকে একত্রিত করে আমাদের মানুষের জন্য এক শক্তিশালী যৌথ কণ্ঠ তৈরি করার।

এদিন আরো বলা হয় যে, মহান নেতাদের আত্মত্যাগ ও আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই নতুন উদ্যোগ উত্তর–পূর্বের উন্নয়ন, পরিচয় ও ঐক্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। প্রায় আড়াই কোটি মানুষের স্বার্থে গঠিত এই রাজনৈতিক ঐক্য ভবিষ্যতের জন্য একটি সাধারণ মঞ্চ ও রূপরেখা তৈরির প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এনপিপি নেতা জেমস সাংমাকে আহ্বায়ক করে ওয়ান নর্থ ইস্ট’ জোটের নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ফ্রন্টের সংবিধান, রাজনৈতিক নীতি প্রণয়ন, সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ সমমনা দল ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করবে।  

নর্থ-ইস্টের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জোট গঠনের এই সিদ্ধান্তকে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তারা বলছেন, এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে উত্তরপূর্ব ভারতের আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে এবং জাতীয় রাজনীতিতেও এর প্রভাব পড়তে পারে।

ভারতে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বরণে ডিজিটাল মিউজিয়াম

 


ভারতে আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বীরত্ব, রক্ত, ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাসকে সামনে আনতে দেশটিতে প্রথমবারের মত ডিজিটাল মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছত্তিশগড়ের নব রায়পুর অটল নগরে তৈরি হওয়া এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন। বাংলা হান্ট এর খবর।

জাদুঘরটি শহিদ বীর নারায়ণ সিং-এর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এই মিউজিয়াম দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনে আদিবাসী সমাজের অবদানকে স্মরণ করার এক ঐতিহাসিক উদ্যোগ।

প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমির উপরে নির্মিত এই প্রকল্পে ইতিহাস, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ওই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন ছত্তিশগড়ের প্রথম শহিদ। তাঁর স্মৃতিকেই কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে এই সম্পূর্ণ ডিজিটাল মিউজিয়াম।

এই মিউজিয়ামে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন বিদ্রোহ ও আন্দোলনকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। হালবা বিদ্রোহ, সরগুজা বিপ্লব, ভোপালপতনম আন্দোলন, পারালকোট ও তারাপুরের সংগ্রাম, কোই ও মেরিয়া আন্দোলন, রানি চাউরি বিদ্রোহ, ভূমকাল আন্দোলনআদিবাসী স্বাধিকার ও স্বদেশের জন্য এই সব আন্দোলনের ইতিহাস দর্শকদের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল ডিসপ্লে, প্রজেকশন ম্যাপিং, ভার্চুয়াল গ্যালারি ও সাউন্ড-লাইট ইন্টার‌্যাক্টিভ শোয়ের মাধ্যমে।

মিউজিয়ামে প্রবেশ করতেই দর্শকদের স্বাগত জানায় সরগুজা শিল্পীদের তৈরি আদিবাসী কাঠের নকশা। শাল ও মহুয়া গাছের বিশাল রেপ্লিকা, যার প্রতিটি পাতায় বোনা রয়েছে বিপ্লবের গল্প। রয়েছে বিরসা মুণ্ডার মূর্তি, যা এই সংগ্রামের প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে। শুধু ইতিহাস নয়, এখানে রয়েছে সেলফি পয়েন্ট, যেখানে বিশেষ শিল্পকর্ম ও সাংস্কৃতিক চিত্রায়ণের মাধ্যমে আদিবাসী পরম্পরাকে তুলে ধরা হয়েছে।

এই ডিজিটাল মিউজিয়াম আদিবাসী সংস্কৃতি ও বীরগাঁথাকে শুধু দেশের নয়, বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই।

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন ডোমিনিক সাংমা

 


ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ডোমিনিক মেগাম সাংমা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে ৭১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। মেঘালয় মনিটর ডটকমের খবর।  

ডোমিনিক সাংমা Rimdogittanga (Rapture) সিনেমা নির্মাণের জন্য পুরস্কার পান। এই পুরস্কারটি তিনি মেঘালয়বাসী বিশেষত গারো হিলসের মানুষদের জন্য উৎসর্গ করেছেন। তিনি মনে করেন, তাঁর এই অর্জন আরো তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সিনেমা নির্মাণে উৎসাহিত করবে।

র‌্যাপচার সিনেমাটি মেঘালয়ের গারো জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। সিনেমায় তাঁর গল্প বলার ধরণ বেশ প্রশংসা অর্জন করেছে। ডোমিনিক সাংমার এই অর্জন একটি মাইলফলক এবং সিনেমার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর আখ্যান বিশ্ববাসীর মনোযোগ আকর্ষণ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্জনে ডোমিনিক সাংমা তাঁর টিমকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমা। তিনি এই পুরস্কারকেতার অনন্য কণ্ঠস্বর এবং ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণবলে অভিহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, ডোমিনিকের কাজ আদিবাসী জীবনের চিত্র প্রতিফলিত করার সাথে সাথে দর্শকদের মুগ্ধ করে চলেছে।

এছাড়াও রাজ্যজুড়ে আন্তরিক অভিনন্দনের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। অনেকেই র‌্যাপচারকে সাংস্কৃতিক বিজয় এবং গারো হিলসের জন্য গর্বের মুহুর্ত হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।

মেঘালয়ের ডেপুটি স্পিকার হতে চলেছেন লিমিসন ডি সাংমা

 


বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার হতে চলেছেন পশ্চিম গারো হিলস জেলার রাকসাঙ্গরে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বিধায়ক লিমিসন ডি সাংমা। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তিনি এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ইন্ডিয়া টুডে নর্থ ইস্টের খবর।

গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) লিমিসন সাংমা তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাঁর প্রার্থিতা প্রস্তাব করেন মন্ত্রিসভার দুই সদস্য মারকুইস এন মারাক এটিএ মণ্ডল।

বিধানসভার স্পিকার থমাস সাংমা সাংবাদিকদের জানান, এখন পর্যন্ত শুধু একটি মনোনয়ন জমা পড়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। যদি কেউ প্রত্যাহার না করেন, তাহলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ডেপুটি স্পিকার পদে তাঁর নির্বাচনের ঘোষণা করব।

এরআগে, রাজ্যের রেসুবেলপাড়া কেন্দ্রের এনপিপি বিধায়ক টিমোথি ডি শিরা পদত্যাগ করার পর এই পদটি খালি হয়। জানা গেছে, দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশেই তিনি পদত্যাগ করেন।

ডেপুটি স্পিকার পদের জন্য লিমিসন ডি সাংমার সম্ভাব্য নির্বাচনে দলের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন বলেই ধারণা করছেন রাজ্যটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

© all rights reserved - Janajatir Kantho