বহির্বিশ্ব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বহির্বিশ্ব লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মেক্সিকোর প্রধান বিচারপতির নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে আদিবাসী প্রার্থী

 

হুগো আগুইলার। ছবি: রয়টার্স

মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন একজন আদিবাসী প্রার্থী। তিনি বিশিষ্ট অধিকারকর্মী সাবেক জাপাতিস্তা উপদেষ্টা হুগো আগুইলার। এই পদে সাধারণত অভিজাত শ্রেণির আইনজ্ঞদেরই স্থান হয়ে থাকে।

মেক্সিকো সিটি থেকে এএফপি জানায়, রোববার দেশটির বিচার বিভাগে নজিরবিহীনভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথমবারের মতো জনগণের ভোটে সব বিচারপতি নির্বাচিত হন। ধরনের নির্বাচন বিশ্বের আর কোনো দেশে চালু নেই।

জাতীয় নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান (আইএনই) জানায়, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পদের জন্য ৯৬ শতাংশ ভোট গণনা শেষে মিক্সটেক আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য হুগো আগুইলার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনি প্রচারে আগুইলার বলেন, ‘এবার আমাদের সময়।তিনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীরবর্জন অবহেলারবিরুদ্ধে সোচ্চার হন।

মেক্সিকোর প্রায় ২০ শতাংশ মানুষ নিজেদের আদিবাসী বলে পরিচয় দেন। আদিবাসী পটভূমি থেকে সুপ্রিম কোর্টে আগেই এসেছেন বেনিতো জুয়ারেজমেক্সিকোর প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট, যিনি ১৮৫৭-৫৮ সালে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ আগুইলার প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের মোরেনা দলের সদস্য লেনিয়া বাত্রেসের চেয়ে অল্প ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।

আইএনআই প্রেসিডেন্ট গুয়াদালুপে তাদেই জানান, 'সাংবিধানিক সংস্কারে এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে, যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন, তিনিই প্রথম দুই বছরের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট হবেন।'

তবে এর আগেই প্রেসিডেন্ট শেইনবাউম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভোটের ফলের বাইরেওনারী প্রতিনিধিত্বের নীতিরকারণে একজন নারীও এই পদে মনোনীত হতে পারেন।

হুগো আগুইলার ১৯৯৪ সালে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পর জাপাতিস্তা গেরিলা গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকারের আলোচনায় আইনি উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেস ওব্রাদরের শাসনামলে তিনি আদিবাসী জনগণের জাতীয় ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন।  

জুম্ম জনগণের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদে প্যারিসে সমাবেশ

 

বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম আদিবাসী জনগণের উপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে লা ভোয়া দে জুম্ম (জুম্মদের কণ্ঠ)। গতকাল প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রানী ইয়ান ইয়ান। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন লা ভোয়া দে জুম্ম’র কার্যকরী কমিটির সদস‍্য মিসেস সমাপ্তি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ দেওয়ান।  

সমাবেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চিংমা খিয়াং-এর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ড, বান্দরবানের বম আদিবাসীদের মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে জেলে বন্দী রাখা, ভূমি রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার, আদিবাসীদের উচ্ছেদ এবং সামরিক নিপীড়নের মতো একাধিক ঘটনা তুলে ধরা হয়।

সমাবেশটি লা ভোয়া দে জুম্মর সভাপতি রেমি চাকমার শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে শুরু হয়। পরে মিস স্বরণীকার কবিতা পাঠ ও শিশু শিল্পী হৃদ্যতা দেওয়ান ভুলং সহ শায়েরী, সমাপ্তি এবং সৃজনী আদিবাসী নৃত্য প্রদর্শন করেন। সমাবেশে রানী ইয়ান ইয়ান ছাড়াও মেকসুয়েল চাকমা, ড. মৃনাল চাকমা সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।  

বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে জুম্ম জনগণ এখনো নির্যাতন, দখল ও বৈষম্যের শিকার। সমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ফ্রান্স সরকার ও জাতিসংঘের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে ৯টি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হল- অবিলম্বে বম আদিবাসীদের মুক্তি প্রদান, চিংমা খিয়াং এর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, অপারেশন উত্তরণ বন্ধ করে বেসামরিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দখলকৃত জমি ফেরত দেওয়া ও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, জাতিসংঘের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অভিযুক্ত সেনাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বন্ধ করা।

এছাড়াও জুম্ম জনগণকে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত, স্বচ্ছ ও কঠোর বিচার নিশ্চিত করা ও জুম্ম নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।  

ভারতে আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের পর নির্মমভাবে খুন

 


ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের পর নির্মমভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে প্রদেশটির খান্ডোয়া জেলায়। অভিযোগ উঠেছে, গণধর্ষণের পর তাঁর গোপনাঙ্গে রড, লাঠি ঢুকিয়ে গর্ভাশয় টেনে বার করে আনা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ছটফট করতে করতে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা দুই সন্তানের মা। তিনি শুক্রবার একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। গভীর রাতে সেখান থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু নিজের বাড়িতে আর ফেরেননি। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে তাঁর ছেলেরা মায়ের খোঁজ শুরু করে। এরপরই এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।

পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসার আগেই মহিলার মৃত্যু হয়।

দুই প্রতিবেশী ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ বছর ৩৮ বছর বয়সী দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho