রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ক্রিকেট স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসীদের পিটুনি, সোশ্যালে নিন্দার ঝড়

 


পাঠ্যবই থেকেআদিবাসীশব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে ক্রিকেট স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটানোর অভিযোগ উঠেছে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি), দুপুরে মতিঝিলের এনসিটিবি ভবনের সামনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়।

হামলায় জন গুরুতর আহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। জরুরিভাবে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহতরা হলেন ডন যেত্রা (২৮), অন্তত ধামাই (৩৫), ফুটন্ত চাকমা (২২), ইসাবা শুহরাত (৩২), রেংইয়ং ম্রো (২৭), রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (২৫), ডোনায়ই ম্রো (২৫), জুয়েল মারাক (৩৫) শৈলী (২৭)

তাদের মধ্যে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য বলে ফেসবুকে এক পোস্টে জানান সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির হামলায় রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা গুরুতর আহত হয়েছেন।

এদিকে, ক্রিকেট স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসীদের পেটানোয় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরব হয়েছেন।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আগে শিক্ষার্থীদের এভাবে পেটাতো ছাত্রলীগ। ভেবেছিলাম এইসব অতীত হয়ে গেছে। এখনস্টুডেন্ট ফর সভরেন্টিনামে এরা কারা ফিরে এলো? হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প আর মাথায় জাতীয় পতাকা। কল্পনা করতে পারেন জাতীয় পতাকার কি অপমান করেছে? এরা কারা আজ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের এইভাবে পেটালো?’’


যোগ করে ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক আরও জানান, ‘‘এই হামলায় যারা যুক্ত ছিল তাদের সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নচেৎ ধরে নিতে হবে বৈষম্য বিরোধী নামে যেই স্পিরিট নিয়ে আমরা অভ্যুথান ঘটিয়েছিলাম সেটার মৃত্যু ঘটেছে।’’

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘‘ঢাবিতে শিবির এতদিন ছাত্রলীগ সেজে নির্যাতন চালিয়েছে, এখন আসল রুপে ফেরার ট্রায়াল দিচ্ছে। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে হামলার নিন্দা জানাই। জড়িতদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রকে সকল জাতিসত্তার সন্মান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আদিবাসী ছাত্র নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী সংগঠনের বিচার চাই।’’



বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি প্রদীপ মার্ডি বলেন, ‘‘খুব সম্ভবত চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলিগেশন ছিল জাতীয় পতাকার অবমাননা। আজস্টুডেন্টস ফর সেভারেন্টিনামে আল্ট্রা ন্যাশনালিস্ট যারা স্ট্যাপের মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে রক্তাক্ত করলো সেখানে কি পতাকার অবমাননা হয়নি?’’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: চেয়ারম্যান হলেন ৪ জন আদিবাসী প্রার্থী

উপজেলা চেয়ারম্যান আদিবাসী

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে চারজন আদিবাসী প্রার্থী চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

এতে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সদর উপজেলা, বরকল উপজেলা, জুরাছড়ি উপজেলা এবং ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে আদিবাসী প্রার্থী বিজয়ী হন।  

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দোয়াত কলম প্রতীকের অন্নসাধন চাকমা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি সর্বমোট ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮৮৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট বিপ্লব চাকমা উট প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৯ ভোট।

বরকল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন দোয়াত কলমের প্রার্থী বিধান চাকমা। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৩২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা সন্তোষ কুমার চাকমা আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৭ ভোট।

জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা আনারস মার্কায় ৪ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সুরেশ চাকমা দোয়াত কলম মার্কায় পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩০ ভোট।

আনারস প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ডেভিড রানা চিসিম। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৬২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান আকন্দ সাগর ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৪৮ ভোট। 

সরকারি বাঙলা কলেজে ‘আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন’র আত্মপ্রকাশ

সরকারি বাঙলা কলেজে ‘আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন’র আত্মপ্রকাশ
মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে ‘আদিবাসী ছাত্র কল্যাণ সংগঠন’ নামের একটি নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আজ সোমবার পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, শিক্ষা ও নিজস্ব সংস্কৃতি বিকাশের শপথ নিয়ে সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন সিনিয়র আদিবাসী শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধানে সংগঠনটির ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

এতে ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তেনজিং দিব্রা সভাপতি ও ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুমেধ চাকমা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চন্দ্রভেদ চাকমা, সহ-সভাপতি ভুবন বিজয় ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি রিপন চাকমা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মংশেচিং মারমা, দপ্তর সম্পাদক উষাল ত্রিপুরা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে ভরণ চাকমা নির্বাচিত হন।

গঠিত কমিটির মেয়াদ এক বছর। 

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক হলেন অঙ্কন চাকমা

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট

বাম ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গড়ে উঠা প্ল্যাটফর্ম গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পেয়েছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা। রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে মুনীর চৌধুরী হলরুমে ছাত্র জোটের এক বৈঠকে এ দায়িত্ব হস্তান্তর করেন জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার। 

সভার শুরুতে জোটের সমন্বয়ক মিতু সরকার বিগত কর্মসূচির ওপর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা ও সমন্বয়কের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে আলোচনা করেন। ছাত্র জোটের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে আন্দোলন জোরদার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এছাড়া, জাতীয় শিক্ষাক্রমে ভুল-ভ্রান্তি ও অসংগতি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে সব জাতিসত্তার স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিতসহ আশু কর্মসূচির রূপরেখা বিষয়ে আলোচনা করেন। 

পরে সভায় উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে আগামী মার্চ-এপ্রিল দুই মাসের জন্য গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নতুন সমন্বয়কের দায়িত্ব পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নিকট হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী সমন্বয়ক মিতু সরকার। 

এসময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সহসম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা উপস্থিত ছিলেন। 

বিপুল চাকমা সহ ৪ নেতার হত্যার বিচার দাবি

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্র-যুবনেতা বিপুল, সুনীল, লিটন, রুহিনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমমনা কয়েকটি সংগঠন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে পিসিপি’র সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরার সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কনিকা দেওয়ান, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অংকন চাকমা, ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিপুল চাকমাদের হত্যার দুই মাস পরেও খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্টো প্রশাসন খুনিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে খুন, গুম করা হচ্ছে।’

এসময় তারা অবিলম্বে বিপুল চাকমা সহ চার নেতার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

সমাবেশ পরবর্তী বিক্ষোভ মিছিলটি দোয়েল চত্বর হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। পুলিশী বাধার এক পর্যায়ে একাডেমির সামনে জিকো ত্রিপুরার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho