সর্বশেষ

আঞ্চলিক

মুক্তমত

সম্পাদকীয়

রাজনীতি,মুক্তমত

জনপ্রিয়

Videos

ক্রিকেট স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসীদের পিটুনি, সোশ্যালে নিন্দার ঝড়

 


পাঠ্যবই থেকেআদিবাসীশব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে ক্রিকেট স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটানোর অভিযোগ উঠেছে স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি), দুপুরে মতিঝিলের এনসিটিবি ভবনের সামনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালায়।

হামলায় জন গুরুতর আহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। জরুরিভাবে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহতরা হলেন ডন যেত্রা (২৮), অন্তত ধামাই (৩৫), ফুটন্ত চাকমা (২২), ইসাবা শুহরাত (৩২), রেংইয়ং ম্রো (২৭), রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (২৫), ডোনায়ই ম্রো (২৫), জুয়েল মারাক (৩৫) শৈলী (২৭)

তাদের মধ্যে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য বলে ফেসবুকে এক পোস্টে জানান সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির হামলায় রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা গুরুতর আহত হয়েছেন।

এদিকে, ক্রিকেট স্ট্যাম্পে জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসীদের পেটানোয় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সরব হয়েছেন।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে লিখেছেন, ‘‘আগে শিক্ষার্থীদের এভাবে পেটাতো ছাত্রলীগ। ভেবেছিলাম এইসব অতীত হয়ে গেছে। এখনস্টুডেন্ট ফর সভরেন্টিনামে এরা কারা ফিরে এলো? হাতে ক্রিকেট স্ট্যাম্প আর মাথায় জাতীয় পতাকা। কল্পনা করতে পারেন জাতীয় পতাকার কি অপমান করেছে? এরা কারা আজ আদিবাসী শিক্ষার্থীদের এইভাবে পেটালো?’’


যোগ করে ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক আরও জানান, ‘‘এই হামলায় যারা যুক্ত ছিল তাদের সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। নচেৎ ধরে নিতে হবে বৈষম্য বিরোধী নামে যেই স্পিরিট নিয়ে আমরা অভ্যুথান ঘটিয়েছিলাম সেটার মৃত্যু ঘটেছে।’’

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘‘ঢাবিতে শিবির এতদিন ছাত্রলীগ সেজে নির্যাতন চালিয়েছে, এখন আসল রুপে ফেরার ট্রায়াল দিচ্ছে। আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে হামলার নিন্দা জানাই। জড়িতদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করতে হবে।’’

হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘‘রাষ্ট্রকে সকল জাতিসত্তার সন্মান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আদিবাসী ছাত্র নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসী সংগঠনের বিচার চাই।’’



বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি প্রদীপ মার্ডি বলেন, ‘‘খুব সম্ভবত চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলিগেশন ছিল জাতীয় পতাকার অবমাননা। আজস্টুডেন্টস ফর সেভারেন্টিনামে আল্ট্রা ন্যাশনালিস্ট যারা স্ট্যাপের মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে আদিবাসীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করে রক্তাক্ত করলো সেখানে কি পতাকার অবমাননা হয়নি?’’

‘রুপাইয়া তঞ্চঙ্গ্যার মাথার ১২টা সেলাই রাষ্ট্রের ক্ষতকে নির্দেশ করে’

 


ঢাকার মতিঝিলে এনসিটিবির কার্যালয়ের সামনে আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। তাঁর মাথায় ১২টা সেলাইয়ের প্রয়োজন পড়েছে। এই ১২টা সেলাই রাষ্ট্রের ক্ষতকে নির্দেশ করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বুধবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত জাতীয় নাগরিক কমিটির বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, একই বিষয়ে বিপরীত চিন্তাভাবনা কিংবা বিপরীত মতামত নিয়ে একই জায়গায় দুইটা গ্রুপ প্রোগ্রাম নিলেও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী পূর্ব ব্যবস্থা নিতে পারেনি। হামলা হবার পরে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ছিল বাংলা সিনেমার মত। এই হামলার দায় সরকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।

আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। জাতীয় নাগরিক কমিটি মনে করে, আজকের সহিংসতার ঘটনায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে পূর্বঘোষিত সমাবেশের সময় একই স্থানে কর্মসূচি ঘোষণা করে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ দায়িত্বশীল আচরণ করেনি। তাদের এমন সিদ্ধান্ত ইচ্ছাকৃত উত্তেজনা তৈরি করেছে। ঘটনাস্থলে সংঘটিত ঘটনাবলী থেকে এটা স্পষ্ট যে, এই হামলা পরিকল্পিত ছিল এবং এর পেছনে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র ভূমিকা ছিল স্পষ্ট। তাদের এই আচরণ শুধু সহিংসতার মাধ্যমে ভিন্নমত দমনের অপপ্রয়াস নয়, বরং এটি দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত।



জাতীয় নাগরিক কমিটি জোর দাবি জানায় যে, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা এবং ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি, এনসিটিবির সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার এবং সকল পক্ষের মতামত বিবেচনা করে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

পাঠ্যবই থেকে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের সিদ্ধান্ত, ঘৃণাভরে প্রত্যাখান আদিবাসী ফোরামের

 


জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নবম ও দশম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সংগঠনটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্র নাথ মাহাতো ও তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিরন মিত্র চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

কিছু সংখ্যক উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর দাবির প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সাথে কোনরূপ আলাপ না করে এনসিটিবি’র সিদ্ধান্ত গ্রহণকে দুঃখজনক বলে মনে করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম। এমন হঠকারি সিদ্ধান্ত দেশের সাম্য, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় বড় অন্তরায়।

বিবৃতিতে আদিবাসী ফোরাম জানায়, গত ১২ জানুয়ারি স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামধারী একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী সংগঠনের কিছু সদস্য পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দ বাতিলের দাবিতে এনসিটিবির ভবন ঘেরাও করে এবং প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করে ভবনে প্রবেশ করেন। ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের মারমুখী অবস্থানের প্রেক্ষিতে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ কোন যাচাই-বাছাই না করে দাবি মেনে নেয় এবং ঐদিন রাতেই পাঠ্যপুস্তকের অনলাইন ভার্সন থেকে আদিবাসী শব্দ প্রত্যাহার করে নেয়।

জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বইয়ের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ২য় পত্রের প্রচ্ছদ থেকে “আদিবাসী” শব্দ সম্বলিত গ্রাফিতি মুছে ফেলার মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচয়কে আরেকবার অপমানিত করা হল বলে মনে করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।

এনসিটিবি’র সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি রোববার সন্ধ্যায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে সংহতি জানিয়েছে সংগঠনটি।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের প্রথম নারী চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা

 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনের পর এবারই প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান পেল খাগড়াছড়িবাসী। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিরুনা ত্রিপুরা। গত রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জেলা পরিষদের হল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এরআগে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলিমা বেগম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করে ১৫ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ১৪ জনকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিক নিয়োগের বাইরে এবারই প্রথমবারের মতো পুরো পরিষদে নতুন মুখ দেখা গেল।

পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, কংজপ্রু মারমা, কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, শেফালিকা ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো. শহিদুল ইসলাম, প্রফেসর আব্দুল লতিফ, মো. মাহবুবুল আলম, জয়া ত্রিপুরা এবং অ্যাডভোকেট মনজিলা সুলতানা।

জিরুনা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১০ম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান। পরিষদ গঠনের পর থেকে এ পর্যন্ত যে সকল চেয়ারম্যান দায়িত্বে ছিলেন, তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম নারী চেয়ারম্যান।

১৯৮৯ সালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রথম ও একমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই থেকে আজ অবধি জেলা পরিষদের কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।

প্রজ্ঞাপন জারির পর জেলাজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসা নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা তেমন আলোচনায় না থাকলেও, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।

জাতীয় নাগরিক কমিটি মধুপুরের সদস্য হলেন জাদিল মৃ

 

জাতীয় নাগরিক কমিটির ঢাকা রাইজিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলায় প্রতিনিধি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন গারো জাতিসত্তার তরুণ লেখক জাদিল মৃ।  

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য অলিক মৃ’র সুপারিশক্রমে কমিটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এই কমিটির অনুমোদন করেন।

৫৫ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত প্রতিনিধি কমিটিতে জাদিল মৃ ছাড়াও আরও ছয়জন আদিবাসী প্রতিনিধি রয়েছেন। তারা হলেন- শোভন মং, সঞ্জীব কুমার কোচ, সঞ্জয় বর্মণ, ইব্রীয় ম্রং, তুষার মাঝি, বিনয় নকরেক।

এই কমিটি জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালীন টাঙ্গাইলে শহীদ হওয়া ভাই ও বোনদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। 





ধর্ষণের পর আদিবাসী নারীকে পুড়িয়ে হত্যা

 

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে ধর্ষণের পর এক আদিবাসী নারীকে পুড়িয়ে হত্যার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যটির জিরিবাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে।

জিরিবাম পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীর স্বামী এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। নিহত নারীর স্বামী যৌন নিপীড়নের দাবি করে বলেন, একদল দুর্বৃত্ত আমাদের ঘরে এসে হামলা করে। পরে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এতে আশপাশের ১৭টি ঘর পুড়ে যায়।

জিরিবাম জেলার পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী ওই নারী স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। ওই নারীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, জিরিবামে এ ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট সহিংসতা গেল দুই মাসের স্থবিরতা ভেঙে দিয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর এ জেলায় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ধরণের ঘটনা গত বছরের জাতিগত সংঘাতের প্রথম কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহতাকে ফিরিয়ে এনেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামর, জোমি এবং কুকি এই তিন আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে ‘জো বলে চিহ্নিত করা হয়। বৃহস্পতিবারের সহিংসতার আগে জিরিবাম জেলার পুলিশ সুপার জো সমাজের প্রতিনিধি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বৈঠক করানোর লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে এই সংঘাতের ঘটনা সেই আলোচনাকে সম্পূর্ণ ভেস্তে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্টভাবে আলোচনা ভেস্তে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। জিরিবামে ১৯ অক্টোবরের পর প্রায় দুই সপ্তাহ কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। এ কারণে মনে হচ্ছিল, আলোচনার একটা বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সংঘাতের পরে পরিস্থিতি আবার জটিল হয়ে উঠল।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে ধারাবাহিক সংঘাতে মণিপুর রাজ্যে এ পর্যন্ত সরকারি হিসাবে প্রায় ২৫০ জন নিহত হয়েছেন। এখনো গৃহহীন অন্তত ৬০ হাজার মানুষ।

আমি থাকলে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ ঘটত না: ট্রাম্প

 


বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকলে এটা কখনও ঘটত না।

আগস্টের প্রথম সপ্তাহে গণআন্দোলনে মুখে বাংলাদেশে সরকার পতনের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ পোস্ট করে ট্রাম্প এই কথা বলেন।

ট্রাম্প এবারই প্রথম বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বললেন উল্লেখ করে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট মাসে শত শত হিন্দু নিহত হয়েছে। ওই সময়ে ছাত্রদের আন্দোলন ব্যাপক বিক্ষোভে পরিণত হয়, যার ফলে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

যুক্তরাষ্ট্রেও ধর্মীয় বিদ্বেষ থেকে হিন্দুদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করব। আমার প্রশাসনের সময় আমরা ভারত ও আমার ভালো বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমাদের বৃহত্তর অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করব।

২০১৬ সালের নির্বাচনে জিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেরে যান পরের নির্বাচনে। যুক্তরাষ্ট্রে পরপর দুইবারের বেশি কেউ প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন না। গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় এবার ট্রাম্প আবার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন। সেই হিসেবে পর পর তিনটি নির্বাচনে একই প্রার্থীকে দেখছেন দেশটির ভোটাররা।

 

আঞ্চলিক

আঞ্চলিক

রাজনীতি

রাজনীতি

অর্থনীতি

অর্থনীতি

সংস্কৃতি

সংস্কৃতি

মুক্তমত

মুক্তমত

খেলাধুলা

খেলাধুলা

বহির্বিশ্ব

বহির্বিশ্ব
© all rights reserved - Janajatir Kantho