আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

জাল দলিলে আদিবাসীদের ২৩ একর জমি দখল, দুদকের মামলা

 


দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জাল দলিলে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর প্রায় ২৩.৩১ একর জমি দখল করার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার দুদকের দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ থানার বাসিন্দা আব্দুল খালেক, মো. আব্দুল লতিফ মোল্লা, মো. আব্দুস সালাম (মিন্টু) মো. আবুল কালাম আজাদ (রিপন)

দুদক সূত্র জানায়, বোচাগঞ্জ উপজেলার রনগাঁও ইউনিয়নের সাদামহল মৌজায় দীর্ঘদিন ধরে মাহালী ও সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীর পরিবারগুলো বসবাস করছেন। এই জমিগুলো তারা বংশানুক্রমে ভোগদখল করে আসছেন।

অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে অনেকে মৌখিকভাবে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জমি লিজ দেন। তবে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অভিযুক্তরা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে জমির মালিকানা নিজেদের নামে লিখে নেন।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত চারজন ২২টি ভুয়া দলিল তৈরি করে মোট ২৩ দশমিক ৩১ একর জমি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করেন। অথচ এসব জমির আসল মালিক আদিবাসী পরিবারগুলোই।

এভাবে জমির টাইটেল পরিবর্তনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ও আদিবাসীদের স্বার্থের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৭ (জাল দলিল তৈরি), ৪৬৮ (জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দলিল তৈরি), ৪৭১ (জাল দলিল ব্যবহার) ও ১০৯ (সহযোগিতার অভিযোগ) ধারায় মামলা হয়েছে।

তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুদক।

গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে হালুয়াঘাটে বিক্ষোভ

 


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ বিকেল ৪ ঘটিকায় হালুয়াঘাটের উত্তর বাজার শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস) ও গারো স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (গাসু) যৌথভাবে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

গাসু কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সতীর্থ চিরানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিবাল মানখিন। সমাবেশে স্বাগতিক বক্তব্য দেন গাসু হালুয়াঘাট শাখার সদস্য সচিব করমিল রুরাম।

এসময় সমাবেশে বাগাছাস ময়মনসিংহ মহানগরের সভাপতি অনিক রেমা, ছাত্রনেতা তেনজিং দিব্রা, বাগাছাস মধুপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রেমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা গারো কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে আটক আসামীদের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান; যেন পরবর্তীতে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না দেখায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর হালুয়াঘাটে পূজা দেখতে বেরিয়ে এক গারো কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন। উপজেলার ২ নং যুগলী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রধান আসামি ও তাঁর এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ধারা আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে প্রধান অভিযুক্ত আবুল বাশারকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন তাঁর সহযোগী মিলন মিয়া (২১)।

 

হালুয়াঘাটে গারো কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় আটক ১

 


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মিলন উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে।

ভুক্তভোগীর মায়ের ভাষ্যমতে, আমার মেয়ের পূর্বপরিচিত যুবক মিলন সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পূজা দেখানোর কথা বলে আমার মেয়েকে মোবাইল ফোনে ইউরোপিয়ান পার্কের (সালমার পার্ক) সামনে আসতে বললে সে ওখানে যায়। পরে পার্ক এবং আশপাশ এলাকায় ঘোরাফেরা করে।

পরে সন্ধ্যায় নয়াপড়া গ্রামের আজাহারুলের এর পুত্র আবুল বাশার (২২) তাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা দিয়ে জুগলী নয়াপাড়া কায়জংখালী ব্রিজের পশ্চিম পাশে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত আনুমানিক ১০টায় উপজেলার ধারা ইউনিয়নের রুস্তমপুর আকাশমনি গাছের নিচে পুনরায় ধর্ষণ করে তার অটোরিক্সাযোগে গামারীতলা মোড়ে ফেলে রেখে চলে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের বাড়িতে যায়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ তার অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, ব্যাপারে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামিকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

হালুয়াঘাটে পূজা দেখতে বেরিয়ে গারো কিশোরী ধর্ষণের শিকার

 


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পূজা দেখতে বেরিয়ে এক গারো কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে উপজেলার ২ নং যুগলী ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঘটনা ঘটে।

হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুণ গণমাধ্যমকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

পুলিশ ভুক্তভোগী জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে পূজা দেখার জন্য মোবাইল ফোনে নবম শ্রেণির ওই কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন এক যুবক। সারাদিন পূজা দেখে রাতে তাকে অটোরিকশায় তুলে দেন ওই যুবক।

বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশা চালক নির্জন স্থানে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে দাবি ভুক্তভোগীর। রাত ১১টার দিকে রাস্তার পাশে তাকে ফেলে রেখে চলে যান অটোরিকশা চালক। পরে ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে পুলিশের সহায়তা নেন স্বজনরা।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, ‘ওই যুবক আমার মেয়ের পূর্ব পরিচিত। পূজা দেখার জন্য মেয়েকে সে ডেকে নেয়। ফেরার পথে তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে দিলে ঘটনা ঘটে। অটোরিকশা চালক ঘটনায় জড়িত। আমরা বিচার চাই।

ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ ঘটনায় আপাতত একজনকে আসামি করা হচ্ছে। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে আরও কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho