রাজশাহীর মোল্লাপাড়ার উচ্ছেদ আতঙ্কে থাকা পাহাড়িয়া আদিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী মহানগরীর ২নং ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়াস্থ আদিবাসী পাহাড়িয়া গ্রাম সরেজমিন পরিদর্শনকালে এ দাবি জানান তারা।
এসময় নাগরিক সমাজের পক্ষে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সোহরাব হাসান, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা, ব্লাস্টের প্রধান কার্যালয়ের প্রতিনিধি মিনহাজুল কাদির ও গ্রিন ভয়েসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল পাহাড়িয়া জনগোষ্ঠীর উচ্ছেদ আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলেন এবং তাদের ভিটেমাটি রক্ষার লড়াইয়ের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পাহাড়িয়া জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। একইসাথে আদিবাসী পাহাড়িয়াদের উচ্ছেদ বন্ধে সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি ভূমিদস্যু সাজ্জাদ আলীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তুলেন তারা।
জাকির হোসেন বলেন, ‘সাজ্জাদ আলী নাকি ১৯৯৪ সালে এই জমি কিনেছেন, আগে তো তিনি দাবি করেননি। হঠাৎ করে কেন? আমাদের কথা হচ্ছে, মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কেউ একজন এসে মালিকানা দাবি করবেন, এটা হয় না। আমাদের মনে হচ্ছে, যিনি দাবি করছেন, তিনি আসল মালিক নন। যিনি আসল মালিক ছিলেন, তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সাজ্জাদ কী করে এত দিন পর এসে দাবি করেন? আসল মালিক যদি জমি ছেড়ে চলে যান, তাহলে এটা সরকারি হবে। এটার পাশে বড় সরকারি রাস্তা আছে। এখন প্রভাবশালীর চোখ পড়েছে। আমরা চাই, এদের নামে জমিটা রেকর্ড করে দেওয়া হোক।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির দীপায়ন খীসা বলেন, পরিবারগুলো স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে আছে। কেউ তাদের উচ্ছেদ করেনি। কয়েক দিন আগে এক ব্যক্তি খাসি খাইয়ে তাদের বিদায় জানাচ্ছেন। এটা নিয়ে আন্দোলন গড়ে উঠেছে। তাঁরা সংহতি জানাতে এসেছেন। যেখানে স্বাধীনতার পর কেউ তাদের উচ্ছেদ করেনি, এখন এসে কেন তাদের উচ্ছেদ করতে হবে? দ্রুত ভূমিদস্যুকে গ্রেপ্তার করতে হবে। এখানে ছোট একটা পুলিশ ফাঁড়ি হতে পারে, যাতে বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন