রাজশাহীর
গোদাগাড়ীতে আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৭
সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযুক্ত খাইরুল বাদশা ওরফে কটাকে (৪০) আটক করে গোদাগাড়ী মডেল থানা
পুলিশ।
আসামী
খাইরুল বাদশা ওরফে কটা সংসার জীবনে ৪ সন্তানের জনক। তিনি উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দ্বিগরাম ঘুন্টি গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের ছেলে।
এক
আদিবাসী ভুক্তভোগী নারীর দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। যার মামলা নং ০৯। গোদাগাড়ী
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা
যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর খাইরুল বাদশা ঐ গৃহবধুকে নিয়ে গ্রামের পাশে হরিপুর মাঠ ব্রিজের
নিচে যায়। এ সময় অপ্রীতিকর অবস্থায় দফরপুর গ্রামের লোকজন দেখতে পায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা
এগিয়ে গেলে তাদের কিল ঘুষি মেরে তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও এন্ড্রয়েড ফোন ফেলে পালিয়ে
যায়। পরে গ্রামের লোকজন ভিকটিম ওই আদিবাসী নারীকে উদ্ধার করে গ্রাম পুলিশের জিম্মায়
রাখেন।
পরের
দিন ২ সেপ্টেম্বর এলাকার মেম্বার ও গ্রাম প্রধানদের সমন্বয়ে আপোষ মিমাংসার কথা হয়।
এতে খাইরুল বাদশা অনুপস্থিত থাকায় গ্রামের যুব সমাজ ওই আদিবাসী নারীকে তাঁর বাড়িতে রেখে
আসে।
এলাকাবাসী
জানান, ওই আদিবাসী নারী ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা এবং দুই বছরের সন্তান রয়েছে তার। ঘটনার
পরে তার স্বামী ভিকটিমকে প্রত্যাখান করেছেন এবং আদিবাসী সমাজ ব্যবস্থায়ও তাকে মেনে
নিচ্ছেন না।
ওসি
রুহুল আমিন জানান, ভুক্তভোগী আদিবাসী নারীর সাথে কথা বলে মামলার এজাহার লেখা হয়েছে।
তিনি যেভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন সেভাবেই মামলা সাজানো হয়েছে। এর বাইরে তো আমরা যেতে
পারি না। তাকে আমরা বারবার জিজ্ঞেস করেছি তিনি একই ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী
মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন