বান্দরবানে গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি


বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের নামে বম জাতিসত্তার সাধারণ নাগরিকদের গণগ্রেপ্তার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আজ রবিবার ইউপিডিএফভুক্ত সংগঠনসমূহ রাঙামাটির বাঘাইছড়ি এবং খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও পানছড়িতে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

বাঘাছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী এলাকায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ যৌথভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

এতে পিসিপি’র বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি কিরণ চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সত্য চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের বাঘাইছড়ি উপজেলা সভাপতি অমিতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বাঘাইছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পদাক নিকেল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য অপর্ণা চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে নাটকীয় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেএনএফের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানের নামে সেখানকার বম জাতিসত্তার সাধারণ জনগণকে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক।

সমাবেশে জানানো হয়, ইতোমধ্যে সেখানে অন্তত ৭০ জন নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী ও গর্ভবর্তী নারীও রয়েছেন। শুধু তাই নয়, সেখানকার জনগণকে ৫ কেজির অধিক চাল কেনা ও বহনের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যার ফলে প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত গ্রামবাসীরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।

সমাবেশ থেকে বক্তারা অবিলম্বে বান্দরবানে যৌথ অভিযানের নামে গণগ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করা এবং গ্রেপ্তারকৃত সাধারণ গ্রামবাসীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।

একই দাবিতে দীঘিনালা ও পানছড়িতে এই তিন সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

© all rights reserved - Janajatir Kantho