আগামী সোমবার (২ জুন) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের এই সংলাপের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউপিডিএফকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ফরেন সার্ভিস
একাডেমিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনে কেবল প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য
দিতে পারেন। এরপর, মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে কমিশন।
গত ১০ মে পার্বত্য
চট্টগ্রামভিত্তিক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে সংলাপ মুলতবি
করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলটির সঙ্গে সংলাপ করায় কমিশনের সমালোচনা করে অনেকেই। এ কারণে
মুলতবি বৈঠক করা হয়নি। দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউপিডিএফকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলেও
জানা গেছে। এ ছাড়া বাকি ৩২ দল ও জোটের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের
দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে
বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলে কড়া সমালোচনা করেছে দলটি। রবিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে
ইউপিডিএফের সহ-সভাপতি নূতন কুমার চাকমা এই মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, পার্বত্য
চট্টগ্রামের জনগণকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ার বাইরে দূরে সরিয়ে রেখে
দেশে কখনই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়।
ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে আমন্ত্রণ
না জানানোর বিষয়ে ইউপিডিএফ মনে করে, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ যারা করে থাকেন, তাদের
দ্বারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকতে পারে না।
বিবৃতিতে ইউপিডিএফ আরও জানায়, বাংলাদেশ
স্বাধীনতার পর জাতীয় সংবিধান প্রণয়নকালে দেশের রাষ্ট্রনেতারা যে ভুল করেছিলেন, জুলাই-আগস্ট
অভ্যুত্থানের পর সেই ভুল সংশোধনের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান
নেতৃত্ব সেই সুযোগ গ্রহণ না করে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।