লালসাংময় বমের মৃত্যুকে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা পিসিপি’র

 

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তারের শিকার লালসাংময় বমের মৃত্যুর ঘটনাকেরাষ্ট্রীয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ মন্তব্য করে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)

আজ সোমবার (২ জুন) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমা সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।  

বিবৃতিতে পিসিপি জানায়, দীর্ঘ দুই বছরের অধিক বিনা বিচারে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় গতকাল আনুমানিক বিকাল সাড়ে ৪টায় লালসাংময় বম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এটা স্পষ্টতই রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। এরপূর্বেও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিনা চিকিৎসায় লালত্লেং কিম বম নামের এক যুবক মারা যায়। যা ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে মেরে ফেলার সামিল। অন্তর্বর্তী সরকার এ হত্যার দায় কখনো এড়াতে পারে না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, যুদ্ধাপরাধী রাজাকার খ্যাত চিহ্নিত অপরাধী ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের দায়হীনভাবে মুক্তি দেয়া হলেও, বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে আটক থাকা বম জাতির নিরপরাধ শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষদের এখনো মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র নির্মাণের স্বপ্নে বিভোর ইউনুস সরকারের জন্য এর চেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা আর হতে পারে না।

বিবৃতিতে নিরপরাধ বমদের মুক্তির পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজাতির ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে পিসিপি।  

জুম্ম জনগণের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদে প্যারিসে সমাবেশ

 

বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম আদিবাসী জনগণের উপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে লা ভোয়া দে জুম্ম (জুম্মদের কণ্ঠ)। গতকাল প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে এ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রানী ইয়ান ইয়ান। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন লা ভোয়া দে জুম্ম’র কার্যকরী কমিটির সদস‍্য মিসেস সমাপ্তি চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ দেওয়ান।  

সমাবেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চিংমা খিয়াং-এর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ড, বান্দরবানের বম আদিবাসীদের মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে জেলে বন্দী রাখা, ভূমি রক্ষা আন্দোলনের নেতাদের গ্রেফতার, আদিবাসীদের উচ্ছেদ এবং সামরিক নিপীড়নের মতো একাধিক ঘটনা তুলে ধরা হয়।

সমাবেশটি লা ভোয়া দে জুম্মর সভাপতি রেমি চাকমার শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে শুরু হয়। পরে মিস স্বরণীকার কবিতা পাঠ ও শিশু শিল্পী হৃদ্যতা দেওয়ান ভুলং সহ শায়েরী, সমাপ্তি এবং সৃজনী আদিবাসী নৃত্য প্রদর্শন করেন। সমাবেশে রানী ইয়ান ইয়ান ছাড়াও মেকসুয়েল চাকমা, ড. মৃনাল চাকমা সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।  

বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে জুম্ম জনগণ এখনো নির্যাতন, দখল ও বৈষম্যের শিকার। সমাবেশ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে ফ্রান্স সরকার ও জাতিসংঘের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে ৯টি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হল- অবিলম্বে বম আদিবাসীদের মুক্তি প্রদান, চিংমা খিয়াং এর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, অপারেশন উত্তরণ বন্ধ করে বেসামরিক শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দখলকৃত জমি ফেরত দেওয়া ও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, জাতিসংঘের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্য কর্তৃক সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং অভিযুক্ত সেনাদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বন্ধ করা।

এছাড়াও জুম্ম জনগণকে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী অপরাধীর বিরুদ্ধে দ্রুত, স্বচ্ছ ও কঠোর বিচার নিশ্চিত করা ও জুম্ম নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।  

জামিনে মুক্তির একদিন বাদেই বম জাতিসত্তার আরেকজনের মৃত্যু

লালসংময় বম। ছবি: সংগৃহীত 

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তারের শিকার বম জনগোষ্ঠীর আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তাঁর নাম লালসংময় বম (৫৫)। তিনি বান্দরবানের ফারুকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

কেএনএফ সন্দেহে লালসংময়কে গত বছরের এপ্রিল মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী ছিলেন তিনি। একদিন আগে তিনি জামিনে মুক্তি পান। অসুস্থতা বেড়ে গেলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে শনিবার রাতে বান্দরবানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গতকাল বেলা আড়াইটায় তিনি মারা যান।

চমেক হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আলী আসগর চৌধুরী বলেন, লালসংময় বম নামে একজন ক্যান্সার রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অসুস্থ লালসংময় বমকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, লালসাংময় বম নামের এক বন্দী দীর্ঘদিন ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। দুই দিন আগে তিনি জামিন পেয়েছেন।

তবে পরিবারের অভিযোগ, সাংময় বমের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হলেও তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আলসারে ভুগছিলেন এবং পরে সেটি ক্যান্সারে রূপ নেয়। গত কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুর মাত্র একদিন আগে, তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়।

এদিকে, অসুস্থ হলেও সময়মত জামিন না পেয়ে লালসাংময় বমের মৃত্যুর ঘটনায় সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। মানবাধিকারকর্মীরা এই ঘটনাটিকে বম জাতিগোষ্ঠীর ওপর চলমান রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে দেখছেন। কারা কর্তৃপক্ষ অসুস্থতার দাবি করলেও, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অভিযোগ রয়েছে, যথাযথ চিকিৎসার অভাব ও নির্যাতনের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।

‘অপহৃত’ ৫ আদিবাসী যুবককে রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় থেকে উদ্ধার

 


চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পাহাড় থেকে ‘অপহরণের শিকার’ পাঁচ আদিবাসী যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাঙ্গুনিয়ার লালারখিল এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে অপহৃত পাঁচ জনকে শনিবার রাতে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার যুবকেরা হলেন পাইসুইচিং মারমা, মংক্যউ মারমা, উসিংমং মারমা, থুইসামং মারমা চসিং মারমা। তাঁরা সবাই চন্দ্রঘোনা থানার আমতলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও উদ্ধার হওয়া যুবকেরা জানিয়েছেনশুক্রবার সন্ধ্যায় তারা বৃষ্টির পানিতে ব্যাঙ ধরতে বের হয়। রাতে তারা লালারখিল এলাকায় আসে। এসময় কিছুদুস্কৃতিকারীতাদের ধরে গহীন পাহাড়ে নিয়ে আটকে রাখে।

শনিবার সকাল ৯টার দিকে অপহরণকারীরা ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 

ভুক্তভোগীদের স্বজনরা সন্ধ্যার পর পুলিশকে জানালে, রাতেই দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের একাধিক টিম অভিযানে নামে। অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়। 

ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং অপহরণকারীদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সিফাতুল মাজদার।

ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ডাক পায়নি ইউপিডিএফ

 


আগামী সোমবার (২ জুন) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের এই সংলাপের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউপিডিএফকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনে কেবল প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দিতে পারেন। এরপর, মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে কমিশন।

গত ১০ মে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সঙ্গে সংলাপ মুলতবি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। দলটির সঙ্গে সংলাপ করায় কমিশনের সমালোচনা করে অনেকেই। এ কারণে মুলতবি বৈঠক করা হয়নি। দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউপিডিএফকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া বাকি ৩২ দল ও জোটের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল বলে কড়া সমালোচনা করেছে দলটি। রবিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের সহ-সভাপতি নূতন কুমার চাকমা এই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়ার বাইরে দূরে সরিয়ে রেখে দেশে কখনই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব নয়।

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে ইউপিডিএফ মনে করে, এ ধরনের অগণতান্ত্রিক আচরণ যারা করে থাকেন, তাদের দ্বারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা থাকতে পারে না।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ আরও জানায়, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর জাতীয় সংবিধান প্রণয়নকালে দেশের রাষ্ট্রনেতারা যে ভুল করেছিলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর সেই ভুল সংশোধনের একটি ঐতিহাসিক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান নেতৃত্ব সেই সুযোগ গ্রহণ না করে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।  

৭ মহাদেশের সর্বোচ্চ ৭ পর্বতশৃঙ্গ জয়ের অভিযানে প্রবাল বর্মন

 


সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ সাতটি পর্বতশৃঙ্গ জয়ের অভিযানে যাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পর্বতারোহী প্রবাল বর্মন। আগামী সোমবার (২ জুন) আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমাঞ্জারো আরোহণের মধ্য দিয়ে তার এ যাত্রা শুরু হবে।

শনিবার (৩১ মে), রাজধানী ঢাকার পান্থপথের ক্লাউড ব্রিস্ট্রো রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রবাল বর্মন বলেন, চার বছরের লক্ষ্য নিয়ে আমি এই অভিযান শুরু করতে যাচ্ছি। অভিযানের অংশ হিসেবে প্রথমেই যাচ্ছি আফ্রিকার সর্বোচ্চ পর্বত কিলিমানজারো চূড়ায় উঠতে। এ অভিযানে আমার দুই সহযাত্রী চিন্ময় সাহা ও শায়লা শারমিন। 

এর বাইরে তিনি মাউন্ট এভারেস্ট (এশিয়া), অ্যাকোনকাগুয়া (দক্ষিণ আমেরিকা), পুঞ্চাক জায়া (ওশেনিয়া), মাউন্ট এলবুর্জ (ইউরোপ), মাউন্ট ভিনসন (অ্যান্টার্কটিকা) এবং ডেনালি (উত্তর আমেরিকা) পর্বত আরোহন করবেন।

বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে 'সীমাহীন' সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রবাল বর্মন। এর আগে সাকা হাফং, তাজিংডং, যোগি, জোতলাংসহ দেশের বিভিন্ন পাহাড়ে অভিযান করেছেন তিনি।

এছাড়া প্রবাল টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পায়ে হেঁটেছেন, এককভাবে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ও আইল্যান্ড পিক অভিযান, বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড় হয়েছেন।

সিঙ্গাপুর জিমন্যাস্টিকসে ৩ আদিবাসী তরুণের স্বর্ণপদক জয়

 


সিঙ্গাপুর ওপেন মেন আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন তিন আদিবাসী তরুণ। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে সোনার পদক জিতে নিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (৩০ মে), টুর্নামেন্টের প্রথম দিনে জুনিয়র দলগত বিভাগে বাংলাদেশের হয়ে সোনা জিতেছেন প্রেন্থই ম্রো, উতিং অং মার্মা মেন্তোন টনি ম্রো। এদিন আরও দুটি পদক জিতেছেন বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা। প্রেন্থন ম্রো জুনিয়র ইনডিভিজ্যুয়াল অল অ্যারাউন্ডে পেয়েছেন ব্রোঞ্জ।

এছাড়া মেন সিনিয়র দলগত বিভাগে রুপা জিতেছে বাংলাদেশ।

মেন সিনিয়র দলগত বিভাগে বাংলাদেশের হয়ে পারফর্ম করেছেন রাজীব চাকমা, ওহাই মং মার্মা, মোহাম্মদ রাফি আহমেদ জ্যাক আশিকুল ইসলাম।

এদের মধ্যে জ্যাক আশিকুল বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। তবে এবার তিনি বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।

© all rights reserved - Janajatir Kantho