কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের
(কেএনএফ) বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সাধারণ বমদের গ্রেফতার একটি পরিকল্পিত ঘটনা। শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ বম জনগোষ্ঠী আর কেএনএফ কিন্তু এক নয়। অন্যান্য জনগোষ্ঠীদের বম জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়াতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে। আমরা যদি এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ না তুলি তাহলে একদিন আমাদের অস্তিত্ব মুছে যাবে।
বুধবার (২৮ মে) রাঙ্গামাটিতে
চিংমা খেয়াংয়ের ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সাধারণ বম জনগোষ্ঠীর
মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রীরা
এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির রাঙ্গামাটি সরকারি
কলেজ শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক
সম্পাদক উলিসিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ
শাখার সভাপতি সজল চাকমা, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী প্রিয়োতা চাকমা
প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে এইচডব্লিউএফ-এর কেন্দ্রীয়
কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক উলিসিং মারমা বলেন, গত ৫ মে চিংমা খেয়াংয়ের ধর্ষণ ও ধর্ষণের
পর হত্যা করা হয়। ঘটনার প্রায় একমাস হতে চলেছে। অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত প্রকাশ
করা হয়নি। চিংমা খেয়াংয়ের পরিবার স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন যে, ধর্ষক ও হত্যাকারীরা হলো
পর্যটক।
তিনি আরও বলেন, বান্দরবানের
থানচি উপজেলায় যাওয়ার সময় অসংখ্য সেনাক্যাম্পের সামনে দিয়ে যেতে হয়। সেনাক্যাম্পে
পর্যটকদের এন্ট্রি করতে হয়। অথচ প্রশাসন এখনো অপরাধীদের ধরতে পারছে না।
পিসিপি রাঙ্গামাটি কলেজ শাখার
সভাপতি সজল চাকমা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলো ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা
ঘটেছে তা সংঘটিত করেছে সেটেলার বাঙালিরা, যার একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। প্রশাসনের মদদে
মূলত এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যার কারণে প্রশাসন এসব ঘটনার ব্যাপারে উদাসীন থাকে।
এই ছাত্রনেতার অভিযোগ, ৭২-এর
সংবিধানে আমাদেরকে অস্বীকার করা হয়েছিলো। আজকের গঠিত সংবিধানেও সংস্কার কমিশনে বহুত্ববাদকে
তারা গ্রহণ করতে চায় না। আমাদের অস্বীকার করা হচ্ছে। আমাদের এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে
হবে। কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙ্গামাটি
সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সূচনা চাকমার সঞ্চালনায় ও সভাপতি এলি চাকমার সভাপতিত্বে
সমাবেশে প্রিয়া চাকমা, সাধারণ শিক্ষার্থী প্রিয়োতা চাকমা বক্তব্য রাখেন।