‘আদিবাসীরা নিজগৃহ থেকে শুরু করে সকল জায়গাতেই অনিরাপদ’

 


মুজিবের আমল থেকে শুরু করে আজকের ক্ষমতাবানরা কেউই আদিবাসীদেরকে মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয়নি। নিজের দেশে তাদেরকে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রেখেছে। তারা উদ্বাস্তুর মতো জীবনযাপন করে। তারা নিজ গৃহ থেকে সকল জায়গাতেই অনিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রাবি শাখার সভাপতি ফুয়াদ রাতুল।

বুধবার ( মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বান্দরবানে গৃহবধূ চিংমা খিয়াংকে গণধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারী ধর্ষকদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ফুয়াদ রাতুল আরও বলেন, গত মাসের ১৮ এপ্রিল কাউখালীতে এক মার্মা তরুণীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তীতে খুন করা হয়েছে। যার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? আজকে কত ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে এখন পর্যন্ত কাউকে ধরা (গ্রেফতার) হয়নি। সেখানকার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেছেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু আমরা জানি, কিছুই হবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম ত্রিপুরা বলেন, আপনারা এই ধর্ষণ কেন্দ্রীক ঘটনা দেখলে বুঝতে পারবেন, এটি শুধু একটি ধর্ষণ নয়, এটি জাতিগত নিপীড়ন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাশাসন এবং তাদের দোসরদের দ্বারা পাহাড়কে করে রাখা হয়েছে উন্মুক্ত কারাগারের মতোন। এই কারাগারে তারা পাহাড়ি মানুষের ভাবভঙ্গি চিড়িয়াখানার নিরীহ প্রাণীদের মত ভাবভঙ্গিতে পরিণত করে রেখেছে এবং তারা সেটা উপভোগ করে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে জুম চাষ করতে যাওয়া এক পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণের পর পাথর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে তারা৷ সারা দেশে নারীর প্রতি যে বিদ্বেষভাব, সেটি পাহাড় হতে শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ মে) বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মংখয় পাড়ায় (খিয়াং পাড়া) তিন সন্তানের জননী চিংমা খিয়াং (২৯) নামের একজন জুম্ম নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী সহ অন্যান্য প্রগতিশীল সংগঠনগুলো প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন। 

কোন মন্তব্য নেই

© all rights reserved - Janajatir Kantho