জাকসু নির্বাচনে লড়বেন ৯ জন আদিবাসী প্রার্থী

 


আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল থেকে ৯ জন আদিবাসী শিক্ষার্থী প্রার্থী হয়েছেন। এরমধ্যে বামপন্থী সংগঠন, সাংস্কৃতিক জোট, আদিবাসী শিক্ষার্থী, বিভিন্ন জাতি ধর্মের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিতসম্প্রীতির ঐক্যপ্যানেলে রয়েছেন জন আদিবাসী প্রার্থী।   

প্রার্থীরা হলেননাট্য সম্পাদক পদে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইগিমি চাকমা। তিনি নাটক নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) পদে নাটক নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের প্রত্যাশা ত্রিপুরা, শিক্ষা গবেষণা সম্পাদক পদে আইআইটি বিভাগের সুকান্ত বর্মন লড়বেন। সুকান্ত বর্মন বাংলাদেশ কোচ-রাজবংশী-বর্মন সংগঠনের মূখ্য সংগঠক।

এছাড়াও ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রেংথ্রি ম্রো সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) পদে লড়বেন। তিনি ভূগোল পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী। পরিবেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সোমা ডুমরী, কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে চুই থুই প্রু মারমা (ফার্মেসি ৫২ তম ব্যাচ), কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে নিহ্লা অং মারমা (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ৫২তম ব্যাচ)

এছাড়াও কার্যকরী সদস্য (পুরুষপদে আদিবাসী প্রার্থী সৈকত কুমার কানুকে সমর্থন করছে ‘সম্প্রীতির ঐক্য 

এদিকে, শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেল থেকে রিং ইয়া মুরং (ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ৫২তম ব্যাচ) জাকসু নির্বাচনে সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) পদে লড়বেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে চাকমা, ত্রিপুরা, গারো, সাঁওতাল, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা, হাজংসহ দেড় শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী রয়েছেন। এই ভোট ফলাফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিতসমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (ইমন-তানজিম) এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিতসংশপ্তক পর্ষদএবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী) সমর্থিত প্যানেলে নেই কোনো আদিবাসী সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রার্থী।

ছাত্রশিবির সমর্থিতসমন্বিত শিক্ষার্থী জোটপ্যানেল থেকে জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্যানেলে ভেড়ানোর চেষ্টা করেছি। তবে তারা কেউই আগ্রহ দেখায়নি।

ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে আদিবাসী যুবক খুনের শিকার

 


কক্সাবাজারের টেকনাফে বন্ধুদের ডাকে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে সুজন বিকাশ চাকমা নামের একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।

জানা গেছে, নিহত যুবক সুজন চাকমার (৩০) বাড়ি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলায়। তাঁর পিতার নাম বাত্যে চাকমা। তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।

ভুক্তভোগীর আত্মীয় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রোববার সুজন চাকমা বন্ধুদের ডাকে সাড়া দিয়ে ইন্টারভিউ দিতে টেকনাফে যান। সেখানে পৌঁছার পর তাঁর বন্ধুরা সুজনের বাড়িতে ফোন দিয়ে অর্থ দাবি করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে একজন টমটম চালক অজ্ঞাত স্থান থেকে সুজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় টেকনাফ শাপলা চত্বর এলাকায় নিয়ে আসে। উপস্থিত লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুজনকে অজ্ঞাত স্থানে ছুরিকাঘাতের পর ক্ষত স্থান সেলাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। অপরদিকে, মুমূর্ষ অবস্থায় তিনি জানিয়েছেন যে, ঘটনার সময় তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল।  

টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক মোর্শেদ আলম জানান, নিহতের বাড়ি রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি এলাকায়। তিনি শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে জুরাছড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho