ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম সমাবেশ

 


ময়মনসিংহে জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলে সমাবেশ হয়। এতে দেশের ১২টি জেলার গারো, হাজং, মণিপুরী, বানাই, বর্মন, খাসিয়া, কোচ, হদি, ত্রিপুরাসহ ১৮টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের সবার দায়িত্ব হবে ১৯৭১ সালে যেমন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান, ক্ষুদ্র জাতি বা বড় জাতি একসঙ্গে লড়াই করেছিলাম ভূখণ্ড, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য; সেইভাবে আবার আমরা কাজ করব। আমাদের বিশ্বাস আছে আমাদের নেতা তারেক রহমান পর্যন্ত যেসব কথা আপনাদের সামনে বলেছেন, তাতে সব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আজ যাঁরা মনে করছেন, আপনারা আলাদা ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্য; কিন্তু খালেদা জিয়া তারেক রহমান সব সময় বলেন কথা কখনো বলা যাবে না। সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু নয়আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমাদের সবার অধিকার সমান। আপনারা যে স্বপ্ন দেখছেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন একটি বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং যে বাংলাদেশে আপনাদের সবার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদকের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবুল, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ।

জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের আনুষ্ঠানিক পথচলা ২০০৭ সাল থেকে। পরে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর এটিকে স্বীকৃতি অনুমোদন দেয় বিএনপি।

ডাকসু নির্বাচনে আদিবাসী প্রার্থীরা লড়ছেন কে কোন পদে

 

ডাকসু নির্বাচনে আদিবাসী প্রার্থীরা। বাঁ দিক থেকে (উপর) রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, সর্ব মিত্র চাকমা, হেমা চাকমা, লিটন ত্রিপুরা, সুর্মী চাকমা, চিম চিম্যা চাকমা।
ডাকসু নির্বাচনে আদিবাসী প্রার্থীরা। বাঁ দিক থেকে (উপর) রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা, সর্ব মিত্র চাকমা, হেমা চাকমা, লিটন ত্রিপুরা, সুর্মী চাকমা, চিম চিম্যা চাকমা।

এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিভিন্ন প্যানেল স্বতন্ত্র থেকে উল্লেখ্যযোগ্যসংখ্যক আদিবাসী প্রার্থী হয়েছেন। তাদের অনেকেই সম্পাদক, সদস্যপ্রার্থী। অন্যান্য প্রার্থীদের মত আদিবাসী শিক্ষার্থীরাও নজর কেড়েছেন। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নির্বাচনে এনেছে ভিন্ন মাত্রা। ভোটারদের মধ্যে তাদের অংশগ্রহণ নিয়ে দেখা যাচ্ছে ইতিবাচক মনোভাব।

এমন ভিন্নধর্মী অংশগ্রহণই শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা। তারা বলছেন, আমরা এমন ডাকসু নির্বাচনই চাই। যেখানে যে কেউ তার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো পদে লড়তে পারবেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ; ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবেন নিজ ইচ্ছানুযায়ী।

১০টি প্যানেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কয়েকজন আদিবাসী প্রার্থী রয়েছেন। বিভিন্ন প্যানেলে আদিবাসী প্রার্থীদের পরিসংখ্যান

. উমামা ফাতেমার ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যে’র প্যানেলে পাঠকক্ষ ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে লড়ছেন সুর্মী চাকমা ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা। এছাড়াও, সদস্য পদে লড়ছেন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী ববি বিশ্বাস অর্ক বড়ুয়া।

. গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্যানেলপ্রতিরোধ পর্ষদথেকে ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে লড়বেন লিটন ত্রিপুরা। এছাড়াও সদস্য পদে আছেন পৃথিং মারমা হেমা চাকমা।

. ছাত্রদলের প্যানেলে ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন চিম চিম্যা চাকমা।

. ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলে সদস্য পদে লড়বেন সর্ব মিত্র চাকমা। এই প্যানেলে নেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো প্রার্থী।

বাকি ছয়টি প্যানেলে নেই কোনো আদিবাসী প্রার্থী। প্যানেলগুলো হলো- বামদের একাংশের সমন্বয়ে গঠিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ মাহিন সরকারের নেতৃত্বে গঠিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’  সর্বশেষ ঘোষিত ‘সম্মিলিত ছাত্র ঐক্য’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম নারী পরিচালক হলেন লাবনী চাকমা

 


জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা লাবনী চাকমা। আজ বৃহস্পতিবার নতুন কর্মস্থলে যোগ দিলে তাকে স্বাগত জানান পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এরআগে লাবনী চাকমা  পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (বিপিপিএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার আগে তিনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে উপসচিব (সংযুক্ত) ছিলেন।

রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার লাবনী চাকমা ব্যক্তি জীবনে এক ছেলে এক মেয়ের মা।

নতুন কর্মস্থলে যোগদানের প্রতিক্রিয়ায় লাবনী চাকমা বলেন, ‘যখন আমাকে এখানে পদায়ন করা হয়, তখন মনে হয়েছিল ক্রীড়াঙ্গন সম্পর্কে আমার কিছুই তো খোঁজখবর রাখা হয় না, গিয়ে কীভাবে কাজ করবো এমন একটা টেনশন ছিল। তারপরও আমি খুব আনন্দিত খেলাধুলা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়ে।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho