সাংবাদিক নিখিল মানখিন আর নেই। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডের বাসায় তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মগবাজারের ইনসাফ বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, বেলা আড়াইটার দিকে বাসা থেকে কর্মস্থলে (ভোরের আকাশ) যেতে প্রস্তুত হচ্ছিলেন নিখিল মানখিন। তখন হঠাৎ তাঁর বুকে ব্যথা শুরু হয়। পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁর শ্যালক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকেরা জানান, পথেই তিনি মারা গেছেন।
পরে রাত ৮টার দিকে ইনসাফ বারাকা কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল থেকে কালাচাঁদপুর স্কুল এণ্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে নিখিল মানখিনের মরদেহ আনা হয়। সেখানে তাঁর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন। তাঁর মৃত্যুতে গারো সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (গাসু) সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুন মানখিন বলেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাভিভূত, মর্মাহত ও বাকরূদ্ধ! আমরা বটবৃক্ষ হারালাম।’
কবি ও লেখক মতেন্দ্র মানখিন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘গারো সমাজের একটি নক্ষত্রের পতন। সাংবাদিক নিখিল মানখিনের অকাল মৃত্যু। কাঁদছে মানুষ আত্মীয় স্বজন, কাঁদছে ঢাকা, ময়মনসিংহ, হালুয়াঘাট ধোবাউড়া। যে মানুষটি ছিল কলম যোদ্ধা, যার লেখায় ঝলসে উঠতো নানা সংবাদ শিরোনাম সেই মানুষটিই এখন খবরের কাগজে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছে সংবাদ শিরোনাম হয়ে।’
নিখিল মানখিনের স্ত্রী ও দুই মেয়েসন্তান রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিবাহের সূত্রে তাঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়। সেখানেই তাকে সমাহিত করা হবে।
দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠে কাজ করতেন। তিনি স্বাস্থ্যখাত বিষয়ক সাংবাদিকতা করতেন। সাংবাদিক নিখিল মানখিনের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন