খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালায় প্রাইভেট থেকে ফেরার পথে এক মারমা স্কুল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে তার স্বজনেরা জানিয়েছেন। গতকাল রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বাবা আজ ভোরে জেলার সদর থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গতকাল রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট থেকে ফেরার পথে ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়।
ওই কিশোরীর বাবা গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর মেয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেত আর রাত ৯টায় বাসায় ফিরত। এটাই ছিল নিয়মিত রুটিন। তবে গতকাল ৯টার দিকে না ফেরায় তাঁরা ওই শিক্ষকের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন অন্যদিনের সময়সূচি অনুযায়ী প্রাইভেট ছুটি হয়েছে। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে আশপাশের এলাকায় খুঁজতে থাকেন তাঁরা। একপর্যায়ের রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে একটি ফসলের খেতে পাওয়া যায়।
অচেতন অবস্থায় পাওয়ার পর ওই কিশোরীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে এখনো ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’। বিক্ষোভে দোষী ব্যক্তিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জেলায় আধা বেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তাঁরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন