খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক আদিবাসী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ধর্ষকদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘আপনারা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কথা শোনান, নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু আপনারা এখন পর্যন্ত পাহাড়ে ধর্ষণের মহাযজ্ঞ থামাতে পারেন নাই। এই দায় সম্পূর্ণ সরকারের। এই দায় কোন পাহাড়ীর না, কোন সাংবাদিকের না।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজশাহীতে আদিবাসীদের শান্তি নেই, কক্সবাজারে শান্তি নেই, শেরপুরে শান্তি নেই, পাহাড়ে শান্তি নাই। আপনারা পুরোপুরি ব্যর্থ। আপনারা ব্যর্থ বলেই অষ্টম শ্রেণীর একজন আদিবাসী ছাত্রীর ধর্ষণ থামাতে পারেন নাই। সেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারেন নাই।’
বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সহ-সভাপতি টনি ম্যাথিউ চিরান বলেন, ‘আদিবাসীদের উপর যতবারই হামলা অত্যাচার হয়েছে ততবারই দেখতে পেয়েছি হয় অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয় না অথবা, গ্রেপ্তার করা হলেও কয়েকদিন পরই জামিনে বাইরে বেরিয়ে আসে। আমরা আর কোনো আদিবাসী কিশোরীর ধর্ষণ দেখতে চাই না। এই দেশ আদিবাসী, বাঙালি সকলের জন্য নিরাপদ হোক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট্রের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক অনিক কুমার দাশ বলেন, ‘নারীদের উপর দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের বিচার ব্যবস্থার কারণে নারীদের প্রতি প্রতিনিয়ত একটার চেয়ে একটা ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর দায় রাষ্ট্রকে নিতেই হবে। আদিবাসী নারীদের উপর রাষ্ট্রের এই নিপীড়নমূলক আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘পাহাড়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা হলেও আমরা কখনো বিচার পাইনি। এইসব ঘটনার বিচার তো দূরের কথা, পাহাড়ে প্রায় ১৫টিরও অধিক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত তার কোন সুষ্ঠু তদন্ত পর্যন্ত হয়নি।’
সমাবেশে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস), গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (গাসু) সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনসমূহ সংহতি জানায়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন