আসন্ন ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের
জাতীয় বাজেটে আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন।
আদিবাসীদের জন্য নতুন অর্থবছরে যে বাজেট বরাদ্দ করা হবে, তা কীভাবে ব্যয় করা
হবে তা নির্ধারিত করে আলাদা অনুচ্ছেদ লিপিবদ্ধ করার দাবিও তুলেছে এ সংগঠন।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে জাতীয়
প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের উপদেষ্টা ডা. দিবালোক
সিংহ এ দাবি তুলে ধরেন। এসময় সংগঠনটির সভাপতি রেবেকা সরেন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত
মাহাতো উপস্থিত ছিলেন।
আদিবাসী ইউনিয়ন বলছে, একটি
অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায্য বাজেট নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সমতল ও পার্বত্য চট্টগ্রামের
আদিবাসীদের উন্নয়ন যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে আদিবাসী ইউনিয়ন
জানায়, আদিবাসীদের জন্য বিদ্যমান উন্নয়ন বাজেট দীর্ঘদিন ধরে অপ্রতুল, খণ্ডিত এবং নীতিগতভাবে
গুরুত্বহীন থেকে যাচ্ছে। অধিকাংশ প্রকল্পে আদিবাসীদের জীবনধারা, সাংস্কৃতিক বাস্তবতা
এবং মানবাধিকারের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হয় না। প্রকল্প বাস্তবায়নেও তাদের অংশগ্রহণ
প্রায় নেই বললেই চলে।
অধিকার সুরক্ষা, মাতৃভাষায়
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণ ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ
খাতেও আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করা হয়।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি রেবেকা
সরেন, সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো এবং উপদেষ্টা দিবালোক সিংহ দাবি তুলে
ধরে বলেন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক
ভূমি কমিশন গঠন এবং তা কার্যকর করতে পাঁচ বছর মেয়াদি বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে; বেদখল
হওয়া জমি উদ্ধার ও পুনর্বাসনের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দিতে হবে; প্রথাগত সামাজিক
কাঠামো ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ দিতে হবে; আদিবাসীদের জন্য জাতীয়
বাজেটে পৃথক অনুচ্ছেদ এবং স্পষ্ট বাজেট খাত নির্ধারণ করতে হবে; সব মন্ত্রণালয় ও দফতরের
বাজেটে আদিবাসীদের জন্য আলাদা বরাদ্দ দিতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ
এলাকার উন্নয়ন কর্মসূচির অর্থ অনিয়ম রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
এছাড়াও শিক্ষা খাতে আদিবাসী
শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা এবং মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রমে
বাজেট বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত;
কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ; ১০০ দিনের কাজ, কাবিখা, ভিজিএফ-এ অন্তর্ভুক্তি
এবং রেশনিং ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দেন তারা।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন