বান্দরবানের থানচি উপজেলায় চিংমা খিয়াংকে
(২৯) ধর্ষণ ও নির্মমভাবে হত্যার ২২ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এটা কেবল চিংমার প্রতি অবিচার নয়, এটি আমাদের আদিবাসী অস্তিত্ব, নিরাপত্তা ও ন্যায়ের অধিকারকে উপহাস করার শামিল বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বিকেএসইউ)।
বুধবার (২৮ মে), বিকেএসইউ’র কেন্দ্রীয় তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা
সম্পাদক স্বাধীন খেয়াং প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এমন মন্তব্য করে। বিবৃতিতে বলা
হয়, আদিবাসী নারী চিংমা খেয়াং, যাকে বর্বরোচিতভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার
২২ দিন পরও তদন্তে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই, অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে, কিংবা প্রশাসনিকভাবে
গোপন রাখা হচ্ছে।
বিকেএসইউ এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অসচেতনতা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নির্লিপ্ততাকে তীব্রভাবে নিন্দা
ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি চারটি দাবি জানিয়েছে। দাবিগুলো হল- চিংমা খেয়াং হত্যার
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অবিলম্বে তদন্ত শেষ করে দোষীদের আইনের আওতায়
আনতে হবে। তদন্তে আদিবাসী প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অবিলম্বে
প্রকাশ করতে হবে। রিপোর্ট গোপন রেখে বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্ব করা চলবে না। আদিবাসী নারীদের
সুরক্ষার জন্য স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা
প্রতিরোধে পৃথক আইন ও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এবং মানবাধিকার সংস্থা ও গণমাধ্যমকে
আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন