বান্দরবানে আদিবাসী নারীকে
ধর্ষণ শেষে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের বিচারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ
সমাবেশ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের
শিক্ষার্থী রিবেক চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী
নুখ্যইমং মারমা। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ আদিবাসী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র
সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিল
চবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শৈ মংসাইন মারমা বলেন, ঐতিহাসিক কাল থেকে পাহাড়ের আদিবাসী
জনগণ নিপীড়ন অত্যাচারের মধ্যে বেঁচে আছে। বর্তমান বাংলাদেশেও সে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তার প্রমাণ গতকাল বান্দরবানে আদিবাসী খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার মতো নৃশংস
ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৭ সালে পাহাড়ের
সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের লক্ষ্যে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি
বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ে অপরাধসমূহ বাড়ছে। অতিদ্রুত চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন
করে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং খেয়াং নারী
ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে
হবে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চবি
সংসদের প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আদিবাসী খিয়াং নারীকে সংঘবদ্ধ
ধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যা একটি বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। পাহাড়ে
এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়।
সংহতি বক্তব্যে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক
ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সোহেল খেয়াং বলেন, পাহাড়ে এ যাবৎ যতগুলা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে
তার কোনোটির সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এই বিচারহীনতা অপরাধীদের আরও অপরাধ সংঘটিত করতে উৎসাহিত
করছে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নুখ্যইমং
মারমা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে প্রশাসনিক
ভবন হয়ে ঘুরে এসে বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে শেষ হয়।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন