লড়াই-সংগ্রামে ৩২ বছরে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ

 


আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ( সেপ্টেম্বর) উপলক্ষে বুধবার নওগাঁর চকদেব কলেজ পাড়ায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে র‌্যালী  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সংগঠনটির
কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিচিত্রা তির্কির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, কোষাধ্যক্ষ নওগাঁ জেলা সভাপতি মার্টিন মুরমু, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নওগাঁ জেলা উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন মুকুল, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নকুল পাহান, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের নওগাঁ জেলা সভাপতি মিঠুন পাহান, সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল পাহান।

আলোচনার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, আলফ্রেড সরেন, ঢুডু সরেন, অনিল মারান্ডি, রবীন্দ্রনাথ সরেন, সবিন মুন্ডা, গোবিন্দগঞ্জে নিহত তিন সাঁওতালসহ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আদিবাসীরা গত ৩২ বছর ধরে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, সমতলের আদিবাসী জন্য পৃথক ভূমি কমিশন মন্ত্রণালয় গঠন করার সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। অধিকার আদায়ের এই লড়াই আরো বেগবান করতে হবে।

এসময় বক্তারা আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা করা, আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি রক্ষায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ নেওয়া, সারাদেশে আদিবাসীদের উপর বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া নির্যাতন, ভূমি থেকে উচ্ছেদ, হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আলোচনা শেষে র‍্যালী বেরা করা হয়। র‌্যালীটি চকদেবপুর কলেজপাড়া থেকে শুরু হয়ে মুক্তির মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।  

‘মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেলেন ভেন প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো

 


শিক্ষা সমাজ সেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবেমাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড ২০২৫সম্মাননা পেলেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো। শনিবার রাজধানীর পল্টন টাওয়ার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে মাদার তেরেসার ১১৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায়মাদার তেরেসা রিসার্চ ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল’ তাকে সম্মাননা প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শিকদার মকবুল হক অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব . মোহাম্মদ জকরিয়া সম্মাননা তুলে দেন। 

শিক্ষার প্রসার সমাজ সংস্কারে নিবেদিত প্রাণ ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরোর জন্ম ১৯৪৭ সালে, খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা উপজেলার বাবুছড়া গ্রামে। তার পারিবারিক নাম বলেন্দ্র দেব চাকমা। মা ইন্দ্রপুডি চাকমা এবং বাবা নরেন্দ্র লাল চাকমা।

প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো শৈশবকাল থেকেই নিদারুণ অভাবের সাথে লড়াই করে পার্বত্য চট্রল বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমে আসেন ১৯৬৬ সালে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৬৮ সালে; বছরই ভিক্ষুত্বে দীক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭৭ সালে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে বিএ অনার্স, ১৯৭৮ সালে এমএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালি সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৮০ সালে।

ঐতিহ্যবাহীপার্বত্য চট্টল বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমএর কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন ১৯৭৪ সালে। সমমনা পাঁচ জন ভিক্ষু মিলে রাঙ্গামাটির রাঙ্গাপানি ভেদভেদী গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে প্রতিষ্ঠা করেনরাঙ্গাপানি মিলন বিহার এখানেই স্থাপন করেন পার্বত্য চট্টল বৌদ্ধ অনাথ আশ্রমের শাখা কার্যালয় যাকে ঘিরে রচিত হয় স্বপ্নের ঠিকানামোনঘর একে একে প্রতিষ্ঠা করেন অনাথ আশ্রম আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়, ধর্মোদয় পালি কলেজ, মোনঘর শিশু সদন, মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়, মোনঘর পালি কলেজ। ভেন. প্রজ্ঞানন্দ মহাথেরো মোনঘরের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ ৩৪ বছর। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকার শাক্যমুনি বৌদ্ধ বিহার কমপ্লেক্সে প্রতিষ্ঠা করেনবনফুল শিশু সদন ২০০৪ সালে শিশু সদনের বর্ধিত রূপ হিসেবে গড়ে তোলেনবনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজ

© all rights reserved - Janajatir Kantho