চাকরিতে যোগ দিলেন ফুটবলার আনাই মগিনী

 


ফুটবল ছেড়ে চাকরিতে যোগ দিলেন জাতীয় নারী ফুটবলার আনাই মগিনী। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে নিয়োগ প্রদান করেন।

শনিবার (১৭ মে) দুপুরে আনাই মগিনী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষ থেকে নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন। এসময় বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মাস্রাথোয়াই মারমা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের ফুটবলে অবদান রাখার পাশাপাশি দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনার স্বীকৃতি স্বরূপ আনাই মগিনীকে এ চাকরি দেওয়া হয়। এতে তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ারের পাশাপাশি নতুন দায়িত্বের সূচনা হয়েছে।

চাকরি পাওয়ার পর আনাই মগিনী বলেন, এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমি ফুটবলের মাধ্যমে দেশের সেবা করেছি, এখন প্রশাসনিক দায়িত্বের মাধ্যমে আরও কিছু করতে পারব।

নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে আনাই মগিনী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় ২ মারমা কিশোর নির্বাচিত

 


প্রতিভাবান ক্ষুদে ক্রিকেটারদের সন্ধানে বাংলাদেশ (পিকেসিএসবিডি) এর বাছাই পর্বে ৭ম শ্রেণির যমজ দুই মারমা ভাই নির্বাচিত হয়েছে। গত ১৬ মে ২০২৫ পিকেসিএসবিডি ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট (২য় পর্ব)’ প্রতিযোগিতায় বান্দরবান জেলা পর্যায় বাছাইয়ে অংশগ্রহণ করে তারা।

বাছাই পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে। বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে অংশগ্রহণ করে। ব্যাটিং, বোলিং উইকেট কিপিং এই তিন বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মিডিয়াম পেস বোলিং ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয় যমজ দুই ভাই উমংহ্লা মারমা হ্লামংথুই মারমা। তারা কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার শিক্ষার্থী।

তাদের নির্বাচিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের সকলে আনন্দ প্রকাশ করে এবং তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানায়।

কচ্ছপতলী আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক লাপ্রাদ ত্রিপুরা বলেন, 'উমংহ্লা মারমা হ্লামংথুই মারমা নির্বাচিত হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। ছোট বেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল। তাছাড়া তারা দুই ভাই পড়াশোনাতেও অনেক ভালো। আমি চাই তারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের স্বপ্ন পূরণ করুক।'

পিকেসিএসবিডি 'কে হবে আগামীর টাইগার' নামে সারা দেশে এই ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনটি শ্রেণি বা বয়সভিত্তিক গ্রুপ থেকে মোট ২৬৪ জন উত্তীর্ণ হবে। প্রতিটি লেভেলে উত্তীর্ণদের পরবর্তী লেভেলে ডাকা হবে। প্রতিবছর একবার করে সারা দেশ থেকে ট্যালেন্ট হান্ট করা হবে। উত্তীর্ণদের উন্নত ট্রেনিং এবং ১০০টি ক্রিকেট ম্যাচ স্কলারশিপ হিসেবে ফ্রি খেলানো হবে। উত্তীর্ণদের পরিণত এবং প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

কারাগারে বম যুবকের মৃত্যু, বিচার চেয়ে বিক্ষোভ

 


চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় লাল ত্লেং কিম বমের মৃত্যুর বিচার, নির্দোষ বম নারী ও শিশুসহ সকলকে মুক্তি ও চিংমা খেয়াংয়ের গণধর্ষণের পর হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ ১৭ মে, বিকাল ৩টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এবং পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে।

পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি হ্লামিউ মারমা। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপি’র চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সভাপতি সুমন চাকমা।

সমাবেশে পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সাবেক সভাপতি দিশান তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আন্দোলনের শক্তিকে ধ্বংস করতে রাষ্ট্রের মদদে নানা দল-উপদল সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই সাথে যারা অধিকারের কথা তুলেন তাদের নানাভাবে হয়রানি করে তাদের বাকরুদ্ধ করা হচ্ছে।

পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ চাকমা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে পাহাড়ে সেটেলার ও নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক বহু ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে যার সুষ্ঠু বিচার এখনো নিশ্চিত হয়নি। এছাড়াও তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।

পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি অন্বেষ চাকমা বলেন, লাল ত্লেং কিম বমের মৃত্যু নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের শোষণ-নিপীড়নের একটি উদাহরণ। পাহাড়ে সেনাশাসন যতদিন থাকবে ততদিন পাহাড়ে শান্তি ফিরবে না। সরকারকে তাই পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করে পাহাড়ে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিতে হবে।

সোহেল খেয়াং বলেন, ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও চিংমা খেয়াং এর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসন বিচার দিতে পারেনি। সরকারের কাছে অনুরোধ পাহাড়ের যত খুন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে তার দ্রুত বিচার দিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বম সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সংহতি জানান।  

একান্নবর্তী রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা পেলেন কবি মতেন্দ্র মানখিন

 


একান্নবর্তী রণজিৎ বিশ্বাস স্মৃতি সম্মাননা ২০২৫ পেয়েছেন গারো জাতিসত্তার কবি, গীতিকার ও প্রাবন্ধিক মতেন্দ্র মানখিন।

১৭ মে বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তিনি এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।

মতেন্দ্র মানখিন ছাড়াও আরও তিনজন গুণী এ সম্মাননা পেয়েছেন। তারা হলেন- কথাসাহিত্যিক হাসান অরিন্দম, চলচ্চিত্র পরিচালক অপরাজিতা সঙ্গীতা এবং শিশুসাহিত্যিক (মরণোত্তর) রাইদাহ গালিবা কুইন।

একান্নবর্তীর সম্পাদক শেলী সেনগুপ্তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ড. ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলা একাডেমি পুরস্কাপ্রাপ্ত কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশীদ।

© all rights reserved - Janajatir Kantho