শেরপুরে আজ থেকে শুরু হল ফাতেমা রানীর তীর্থোৎসব। জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীতে আজ ৩০ ও ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের এই বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব।
সকালে এবারের তীর্থোৎসবের প্রধান বক্তা ভ্যাটিকান অ্যাম্বাসেডর ও পোপের বিশেষ প্রতিনিধি আর্চবিশপ কেভিন রেনডালকে গারো রীতি অনুসারে স্বাগত জানানো হয়। আর্চবিশপ কেভিন রেনডাল গারো রীতি অনুসারে নাগ্রা বাজিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেন। এসময় ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি, ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের চ্যান্সেলর ফাদার বাইওলেন চাম্বুগং, ফাদার পিটার রেমা, ফাদার শিমন হাচ্ছা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবারের
তীর্থোৎসবের মূলসুর—আশার তীর্থযাত্রী, ফাতেমা রানী মা মারিয়া।
অক্টোবরের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হয় এ উৎসবের।
শুধু শেরপুর নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও বিদেশ থেকেও হাজারো রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান পুণ্যার্থী অংশ নেন এই তীর্থযাত্রায়। উৎসবের প্রধান আকর্ষণ আলোক শোভাযাত্রা, পাশাপাশি থাকবে প্রার্থনা, নিশিজাগরণ, জীবন্ত ক্রুশের পথ এবং মহা খ্রিস্টযোগ।
আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ও বারোমারী মিশনের ফাদার তরুণ বানোয়ারী বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে তীর্থ সফলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশাবাদী। তীর্থোৎসব উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি পুরো এলাকা গোয়েন্দা নজরদারিত রয়েছে।
শেরপুর
জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম ইতোমধ্যে বারোমারী মিশন পরিদর্শন করেছেন এবং আয়োজকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া
হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন