গণধর্ষণের পর চোখ উপড়ে আদিবাসী নারীকে হত্যার অভিযোগ

 


বান্দরবানের থানচি উপজেলায় চিংমা খিয়াং (২৯) নামের এক আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের পর চোখ উপড়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ মে) বিকেলে উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের মংখয় পাড়া সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।  

হত্যার শিকার চিংমা খিয়াং তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মংখয় পাড়া গ্রামের সুমন খিয়াং এর স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে চিংমা খিয়াং জুমে যান। দুপুরেও বাড়ি না ফেরায় পাড়ার লোকজন মিলে স্বজনরা তাকে খুঁজতে বের হন। এসময় তারা জুমে কোনো কিছু টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পান। তা অনুসরণ করে খুঁজতে গিয়ে বিকাল আনুমানিক ৩ টার দিকে চিংমা খিয়াং এর লাশ উদ্ধার করে তারা।

স্থানীয়দের ধারণা, চিংমা খিয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ উপড়ে ফেলানো এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

পরিবারের লোকজনের সূত্রে জানা যায়, গতকালও (৪ মে) চিংমা খিয়াং নিজেদের জুমে কাজ করতে যান। সেসময় তিনি পথে তিনজন বাঙালি সড়ক নির্মাণ শ্রমিক দেখতে পান। শ্রমিকদের চাহনি এবং ভাবভঙ্গি দেখে ভয় পেয়ে গতকাল চিংমা খিয়াং তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে জানান। এলাকাবাসীর সন্দেহ, ওই বাঙালি শ্রমিকরাই উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা কীভাবে তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

এদিকে, চিংমা খিয়াং হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডাব্লিউএফ)। এছাড়াও বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বিকেএসইউ) সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

কোন মন্তব্য নেই

© all rights reserved - Janajatir Kantho