আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কয়রার আদিবাসী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও বাইসাইকেল প্রদান

 


খুলনার কয়রার আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপকরণ সামগ্রী ও বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়।

আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আদিবাসী সন্তানদের মাঝে এই সহায়তা প্রদান করা হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাইসাইকেল ও শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস।

এ সময় কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ জিএম ইমদাদুল হক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার বর্মণ, খুলনা জেলা জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ মুন্ডা, আদিবাসী নেতা বলয় কৃষ্ণ মুন্ডা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মালবাহী ট্রলি উল্টে ঝরল আদিবাসী তরুণের প্রাণ

 


রাঙামাটির লংগদুতে মালবাহী ট্রলি উল্টে বিজয় চাকমা (২১) নামের এক হেলপারের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বগাচতর ইউনিয়নের কাঠালতলী হেলিপ্যাড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই ট্রলির ড্রাইভার আশঙ্কাজনক অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বিজয় চাকমা মাহিল্যা এলাকার গৌরাঙ্গ চাকমার ছেলে। জীবিকার তাগিদে গাড়িতে হেলপার হিসেবে কাজ করতো। বুধবার রাত নয়টায় মালামাল নিয়ে আসার পথে গাড়ি উল্টে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ দিকে ড্রাইভার সাগর (২৮) বগাচতর ইউনিয়নের ঠেকাপাড়া এলাকার সেকান্দর আলীর ছেলে। তিনিও গুরুতর অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

লংগদু থানার ওসি (তদন্ত) স্বরজিৎ দেব জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত না করার জন্য নিহতের পরিবারের পক্ষ হতে আবেদন করা হয়েছে। তাই অপমৃত্যুর কারণে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

‘আদিবাসীরা নিজগৃহ থেকে শুরু করে সকল জায়গাতেই অনিরাপদ’

 


মুজিবের আমল থেকে শুরু করে আজকের ক্ষমতাবানরা কেউই আদিবাসীদেরকে মানুষ বলে স্বীকৃতি দেয়নি। নিজের দেশে তাদেরকে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক বানিয়ে রেখেছে। তারা উদ্বাস্তুর মতো জীবনযাপন করে। তারা নিজ গৃহ থেকে সকল জায়গাতেই অনিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট রাবি শাখার সভাপতি ফুয়াদ রাতুল।

বুধবার ( মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বান্দরবানে গৃহবধূ চিংমা খিয়াংকে গণধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারী ধর্ষকদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ফুয়াদ রাতুল আরও বলেন, গত মাসের ১৮ এপ্রিল কাউখালীতে এক মার্মা তরুণীকে ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তীতে খুন করা হয়েছে। যার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো? আজকে কত ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে এখন পর্যন্ত কাউকে ধরা (গ্রেফতার) হয়নি। সেখানকার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেছেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিষয়টি দেখবেন। কিন্তু আমরা জানি, কিছুই হবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীম ত্রিপুরা বলেন, আপনারা এই ধর্ষণ কেন্দ্রীক ঘটনা দেখলে বুঝতে পারবেন, এটি শুধু একটি ধর্ষণ নয়, এটি জাতিগত নিপীড়ন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাশাসন এবং তাদের দোসরদের দ্বারা পাহাড়কে করে রাখা হয়েছে উন্মুক্ত কারাগারের মতোন। এই কারাগারে তারা পাহাড়ি মানুষের ভাবভঙ্গি চিড়িয়াখানার নিরীহ প্রাণীদের মত ভাবভঙ্গিতে পরিণত করে রেখেছে এবং তারা সেটা উপভোগ করে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে জুম চাষ করতে যাওয়া এক পাহাড়ি নারীকে গণধর্ষণের পর পাথর দিয়ে তার মাথা থেঁতলে দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে তারা৷ সারা দেশে নারীর প্রতি যে বিদ্বেষভাব, সেটি পাহাড় হতে শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ মে) বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মংখয় পাড়ায় (খিয়াং পাড়া) তিন সন্তানের জননী চিংমা খিয়াং (২৯) নামের একজন জুম্ম নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঢাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী সহ অন্যান্য প্রগতিশীল সংগঠনগুলো প্রতিবাদ সমাবেশ করছেন। 

আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

 


বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দুতে চিংমা খিয়াং (২৯) নামের এক আদিবাসী নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। বুধবার (৭ মে) বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহরের কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়ামের সামনের সড়কে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এ সমাবেশ করে।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুমার সুমিত রায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ঘুরে পুনরায় জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে ফিরে আসে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা কমিটির সদস্য সূচনা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমিত্র চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রুমেন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ম্রানুসিং মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফোরাম রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি অলনা তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, অপরাধীদের বিচার না হওয়ায় তাদের সাহস বেড়ে যাচ্ছে। তাদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে। আমাদের ওপর যে শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হচ্ছে; এমন নারকীয় অভিশপ্ত জীবন নিয়ে কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। আমাদের ভূমিতে আমাদের সংখ্যালঘু করা হচ্ছে।

বক্তরা আরও বলেন, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের ধর্ষণের ঘটনাগুলো প্রশাসন শুধুই দেখেই যাচ্ছে। যে প্রশাসন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় আমরা সে প্রশাসন চাই না। এত এত ক্যাম্প থাকার পরও আমরা তো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। এই রাষ্ট্র বিচারহীনতার সংস্কৃতি পালনের জন্য আমাদের বার বার রাস্তায় নামতে বাধ্য করছে। আমরা চাই কেবল পাহাড় নয়, সমতল তথা গোটা বাংলাদেশের কোনো মা-বোন যেন ধর্ষণ-নিপীড়নের শিকার না হয়।

সমাবেশ থেকে বক্তারা বান্দরবানের থানচির তিন্দু ইউনিয়নে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

গণধর্ষণের পর চোখ উপড়ে আদিবাসী নারীকে হত্যার অভিযোগ

 


বান্দরবানের থানচি উপজেলায় চিংমা খিয়াং (২৯) নামের এক আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণের পর চোখ উপড়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৫ মে) বিকেলে উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের মংখয় পাড়া সংলগ্ন জঙ্গলে এ ঘটনা ঘটে।  

হত্যার শিকার চিংমা খিয়াং তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মংখয় পাড়া গ্রামের সুমন খিয়াং এর স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে চিংমা খিয়াং জুমে যান। দুপুরেও বাড়ি না ফেরায় পাড়ার লোকজন মিলে স্বজনরা তাকে খুঁজতে বের হন। এসময় তারা জুমে কোনো কিছু টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন দেখতে পান। তা অনুসরণ করে খুঁজতে গিয়ে বিকাল আনুমানিক ৩ টার দিকে চিংমা খিয়াং এর লাশ উদ্ধার করে তারা।

স্থানীয়দের ধারণা, চিংমা খিয়াংকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন, চোখ উপড়ে ফেলানো এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

পরিবারের লোকজনের সূত্রে জানা যায়, গতকালও (৪ মে) চিংমা খিয়াং নিজেদের জুমে কাজ করতে যান। সেসময় তিনি পথে তিনজন বাঙালি সড়ক নির্মাণ শ্রমিক দেখতে পান। শ্রমিকদের চাহনি এবং ভাবভঙ্গি দেখে ভয় পেয়ে গতকাল চিংমা খিয়াং তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসেন। তিনি বিষয়টি বাড়ির লোকজনকে জানান। এলাকাবাসীর সন্দেহ, ওই বাঙালি শ্রমিকরাই উক্ত ঘটনা ঘটিয়েছে।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার জানান, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা কীভাবে তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

এদিকে, চিংমা খিয়াং হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডাব্লিউএফ)। এছাড়াও বাংলাদেশ খেয়াং স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বিকেএসইউ) সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড বানানোর গুজব ছড়ানো হচ্ছে’

 


বিভিন্ন মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে জুম্মল্যান্ড বানানোর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেটা ঠিক নয়। জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করতে নয়, অন্তর্ভুক্ত করতে চুক্তি বাস্তবায়ন চায়।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙামাটি শহরের জিমনেসিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জনসংহতি সমিতি আয়োজিত গণসমাবেশ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঊষাতন তালুকদার এসব কথা বলেন।

জেএসএস এর সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার যে অপপ্রচার হচ্ছে, তা সরকার বিশ্বাস করে। সেই অপপ্রচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন নয়, অন্তর্ভুক্ত হবে। দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের কথা মেনে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি হয়েছে।

এর আগে সকালে জাতীয় সংগীত দলীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয়।

পরেপার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিবিরোধী জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করুন- এই স্লোগানে গণসমাবেশ আলোচনা সভা হয়।

সভায় জনসংহতি সমিতির সদস্য গুনেন্দু বিকাশ চাকমা সভাপতিত্ব করেন। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জেএসএস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কে এস মং মারমা, আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, জেএসএস সদস্য জুয়েল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

‘বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বিদ্যমান’

 


বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বিদ্যমান। এরপর আশির দশকে অপারেশন দাবানল নামে সেনাশাসন ছিল। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর সে সেনাশাসন অপারেশন উত্তরণ নামে বিদ্যমান আছে।

বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনের সম্মেলন কক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আয়োজিতবৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজের ভূমিকাশীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।

সন্তু লারমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত বৈষম্য বিরাজমান। দেশের শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের বিশ্বাস করে না। ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। এখানকার মানুষদের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে বৈষম্য করা হয়েছে। এখনো সেই বৈষম্য বিদ্যমান। এই বৈষম্য দূর করতে যুবসমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করা হয়। প্রকৃত অর্থে পাহাড়ের স্থায়ী বাঙালিদের সঙ্গে পাহাড়িদের কোনো বিরোধ নেই। আদিবাসী মানে বাঙালি মাইনাস নয়, ভুল ভাঙতে হবে। বিরোধ যেন না থাকে সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যা অনুপাতের হিসাব দেখিয়ে একটি অংশ দাবি তুলেছে, জেলা পরিষদ আইন, ভূমি কমিশন আইন পরিবর্তন করতে হবে। সেখানে বাঙালি ভাইস চেয়ারম্যান দাবি করা হচ্ছে।

একে তামাশা উল্লেখ করে রাজা বলেন, ‘তা যদি হয় তাহলে ডিসি যদি বাঙালি হয়, তাহলে এডিসি পাহাড়ি, ব্রিগেড কমান্ডার বাঙালি হলে কমান্ডিং অফিসার পাহাড়ি হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র কি কাজটা করবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে বৈষম্য জারি রাখা হয়েছে। বিদেশ থেকে কোনো রাষ্ট্রদূত রাঙামাটিতে আসলে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে দেওয়া হয় না। রাজবাড়ীতে যেতে পারেন না এসব অতিথি।

সেমিনারে বিশেষ আলোচক ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার। এছাড়াও আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, প্রভাষক আনন্দ জ্যোতি চাকমা, উন্নয়ন কর্মী গবেষক তনয় দেওয়ান, সাংবাদিক হিমেল চাকমা, সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, উদ্যোক্তা রোজিনা ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

© all rights reserved - Janajatir Kantho