আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আঞ্চলিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কীটনাশক পানে আদিবাসী যুবকের আত্মহত্যা

 


জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় কীটনাশক পান করে বৈদ্যনাথ তিগ্যা নামের এক আদিবাসী যুবক আত্মহত্যা করেছেন। গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ ময়নুল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বৈদ্যনাথ তিগ্যা পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের রুপাপুর গ্রামের বিজয় তিগ্যার ছেলে।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে বৈদ্যনাথ নিজ জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের কথা বলে রতনপুর বাজারের কীটনাশকের দোকান থেকে কীটনাশক ক্রয় করেন। পরে বাজারে নির্জন স্থানে গিয়ে নিজেই সেই কীটনাশক পান করেন তিনি।

পরবর্তীতে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তা জানা যায়নি।

 

ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আদিবাসী কিশোরী ধর্ষিত

 


বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলীপাড়ায় রাতে ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ম্রো জনগোষ্ঠীর এক আদিবাসী কিশোরী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার ( জুন) রাতে কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই জনগোষ্ঠীর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মেনয়া ম্রো (৪০) কুহালং ইউনিয়নের বাকীছড়া বটতলী গোদার পাড় এলাকার বাসিন্দা।

শিশুটির মা গণমাধ্যমকে জানান, “শনিবার সন্ধ্যায় দুই শিশুকে নিয়ে মেনয়া ম্রো ঝিরিতে কাঁকড়া ধরতে যান। কাঁকড়া খুঁজতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। তখন মেনয়া বাড়ি থেকে অনেক দূরে এসেছি বলে দুই শিশুকে টংঘরে ঘুমিয়ে সকালে বাড়ি ফেরার কথা বলেন।’’

গভীর রাতে মেনয়া এক শিশুকে ধর্ষণ করেন। সময় শিশুটি চিৎকার করে রাতেই বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ফিরে আসে। জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, ‘মেনয়া তাকে ধর্ষণ করেছে।পরে পাড়ার লোকজন মিলে ভোরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) দিলীপ চৌধুরী জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটির শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় কয়েকজন যুবকের রক্ত সংগ্রহ করে শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন, “শিশুটির পায়ুপথ ও জরায়ুর ভেতরে ও বাইরে ৯০ ভাগ কাটাছেঁড়া পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। যদি ধর্ষণ না হয়, তাহলে শিশুটির স্পর্শকাতর স্থানে এতটা ক্ষত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

বান্দরবান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু নাছের বলেন, কিশোরী ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এবং চিকিৎসকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হচ্ছে।

 

বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন

 


বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। আজ (৬ জুন) শুক্রবার, খাগড়াছড়ি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হল রুমে এ কাউন্সিল হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট সমাজ সেবক মাচাং দীনময় রোয়াজা ও গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ দীপা ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব সংসদের উপদেষ্টা মাচাং রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ৪ নং লতিবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাচাং ভূমীধর রোয়াজা, কার্বারি এসোসিয়েশনের সভাপতি মাচাং রনিক ত্রিপুরা, মাচাং প্রার্থনা কুমার ত্রিপুরা, ত্রিপুরা শ্রমিক সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাচাং উপামোহন ত্রিপুরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দীনময় রোয়াজা বলেন, ‘‘যুব সংসদ সহ ত্রিপুরাদের  সকল সামাজিক সংগঠন একে অপরের সাথে কাজ করতে কোন ধরনের সাংঘর্ষিক হবে না বলে আমি মনে করি। কারণ এ সংগঠনগুলো একেকটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক রেখে কাজ করতে পারলে জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবে।’’

এসময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ডাঃ দীপা ত্রিপুরা বলেন, ‘‘আমরা হচ্ছি এখন ঝড়াপাতার মতো। আর তরুণ যুব সমাজ হচ্ছে তেজোদীপ্ত। তাদের শক্তি ও মনোবলকে জাতির পেছনে শ্রম দিয়ে কাজ করতে হবে। তখন জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবো।’’

দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রথম কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে মাচাং রুপক ত্রিপুরাকে সভাপতি ও মাচাং সাগর ত্রিপুরাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির উপদেষ্টা রামেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। নতুন কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান বিদায়ী কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মাচাং তনয় ত্রিপুরা।

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বের মাধ্যমে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও আলোচনা সভা শেষ হয়।

কাপ্তাই হৃদ সাঁতরে পার হতে গিয়ে আদিবাসী ছাত্র নিখোঁজ

 

নিখোঁজ দীপেন চাকমা। ছবিসংগৃহীত

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে দীপেন চাকমা (১৬) নামের এক আদিবাসী স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ি ঘাট এলাকায় সাঁতার কেটে হ্রদ পার হতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।

নিখোঁজ দীপেন রাঙামাটির রাজদ্বীপ গ্রামের মহেশ্বর চাকমার ছেলে রাঙামাটি সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

জানা গেছে, আজ সকালে দুই বন্ধুর সঙ্গে রাজবন বিহারে যায় দীপেন চাকমা। পরে বেলা ১১টার দিকে বনবিহার ঘাট থেকে রাজবাড়ি ঘাটে সাঁতার কেটে পার হওয়ার চেষ্টা করে তারা। সময় তার দুই বন্ধু পার হতে পারলেও দীপেন চাকমা তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন প্রথমে জাল ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে বেলা তিনটার দিকে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় একটি ডুবুরি দল নিখোঁজ স্কুলছাত্রকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে। তিনটি ডুবুরি দল দুই ঘণ্টার চেষ্টায়ও দীপেনের সন্ধান পায়নি। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে উদ্ধার অভিযান চলছিল।

নিখোঁজ দীপেনের বাবা মহেশ্বর চাকমা বলেন, ‘আমার ছেলে সকালে রাজবন বিহারে যায়। সেখান থেকে সাঁতার কেটে বাড়ির কাছে ঘাটে আসতে চেয়েছিল সে। তবে হ্রদে ডুবে নিখোঁজ হয় সে।

দীপেন চাকমা মহেশ্বর চাকমার একমাত্র ছেলে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। 

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মান্নান আনছারী বলেন, ‘নিখোঁজ স্কুলছাত্রকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আমাদের সঙ্গে নৌবাহিনী স্থানীয় ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযানে আছেন। 

© all rights reserved - Janajatir Kantho