দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ফাতেমা রানীর ২৭তম তীর্থোৎসবের সমাপ্তি

 


শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার বারোমারীতে ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ফাতেমা রানীর তীর্থ উৎসব শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার মহা খ্রিষ্টযাগের (মূল প্রার্থনা) মধ্য দিয়ে শেষ হয় উৎসব।

গত বৃহস্পতিবারআশার তীর্থযাত্রী; ফাতেমা রাণী মা মারীয়া, বারোমারীএই এই মূল সুরে ২৭তম বার্ষিক তীর্থ উৎসব শুরু হয়। একই সাথে দীর্ঘ ২৫ বছর পর উদযাপন করা হয় তীর্থের জুবিলী উৎসব।

গত বৃহস্পতিবার প্রধান পৌরহিত্যকারী ন্যুনসিওকে বরণ, মণ্ডলি বারোমারী তীর্থের জুবিলী উদযাপন করা হয়। পরে পুনর্মিলন সংস্কার, পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থনা; রাতে আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা নিশি জাগরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় প্রথমদিনের মূল উৎসব। আর শুক্রবার জীবন্ত ক্রশের পথ মহা খ্রিষ্টযাগের মাধ্যমে শেষ হয় এবারের তীর্থোৎসব।

জানা গেছে, এবার প্রায় ৩৫ হাজার তীর্থযাত্রী এসেছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে। উৎসবে মূল আকর্ষণ ছিল আলোক শোভাযাত্রা। ভক্তরা দেড় কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রশের পথ অতিক্রম শেষে ৪৮ ফুট উঁচু মা-মারিয়ার কাছে নিজেদের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য মানত পূরণ করেন।

১৯৪২ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীটি। ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে নির্মাণ হওয়ার পর থেকেই এটিকে বার্ষিক তীর্থ স্থান হিসেবে নেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহের বৃহস্পতি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় ক্যাথলিকদের এই তীর্থোৎসব।

কোন মন্তব্য নেই

© all rights reserved - Janajatir Kantho