পার্বত্যাঞ্চলে কমছে শিশুর উচ্চতা

পার্বত্যাঞ্চলে কমছে শিশুর উচ্চতা

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবহারে সচেতনতার অভাবে শিশুর শারীরিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার শিশুদের বয়স অনুযায়ী যে উচ্চতা ও ওজন থাকার কথা, সে অনুযায়ী কম আছে।

সম্প্রতি ঢাকার সিরডাপে ‘অ্যাডভান্সিং নিউট্রিশন কমিটমেন্ট ফর চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এমন তথ্য জানানো হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ও লিন প্রকল্প এ বৈঠকের আয়োজন করে।‍

বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা জানান, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ৫৯ ও ৫৭ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার ও পানি পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারি উদ্যোগে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. রুহুল আমিন তালুকদার জানান, গত ২০ বছরে বাংলাদেশের শিশু পুষ্টির বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে জাতীয় ও বিভাগীয় অবস্থার তুলনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শিশুদের পুষ্টির অবস্থা বেশ খারাপ। অপুষ্টির কারণে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি জেলার শিশুদের বয়স অনুযায়ী যে উচ্চতা ও ওজন থাকার কথা, তার থেকে কম আছে। জাতীয় ও বিভাগীয় জেলাগুলোয় ৯৯ ও ৯৭ শতাংশ মানুষ নিরাপদ খাবার ও পানি পেলেও রাঙামাটি-বান্দরবানে পাচ্ছে ৫৯ ও ৫৭ শতাংশ মানুষ।

বৈঠকে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মশিউর রহমান। অতিথি ছিলেন চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার। 

ইবিতে জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তিন পার্বত্য জেলার (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সংগঠন জুম্ম ছাত্র কল্যাণ সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার সংগঠনটির সদ্য সাবেক সভাপতি মিলন জ্যোতি চাকমা ২৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা করেন।

এতে সভাপতি হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাবিল চাকমা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পংকজ চাকমা মনোনীত হয়েছেন।

কমিটির অন্যান্য পদে মনোনীত সদস্যরা হলেন— সহ-সভাপতি চিনুমং মারমা, উথান্ট উইন, অনোমা চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক কোকো সাইন মারমা, চয়নিকা চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মংক্যচিং মারমা, বাবলু মারমা, সূচনা ত্রিপুরা, অর্থ সম্পাদক পিকাসু চাকমা, সহ-অর্থ সম্পাদক দিভাস বসু চাকমা প্রমুখ।

লাইব্রেরি বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ফলিন্দ্র ত্রিপুরা, খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক নুমংসিং মারমা, উন্মেষ চাকমা, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক চাইন্দাওয়াং মারমা, তথ্য প্রচার ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মন্টু চাকমা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জুলিয়া চাকমা।  

এছাড়া কার্যকরি সদস্য হিসেবে সদায় মানিক ত্রিপুরা, পহেল চাকমা, আবির চাকমা, হ্যাপী চাকমা, জয়ন্ত চাকমা, মংসিনু মারমা এবং অংক্যহ্লা খুমি মনোনীত হয়েছেন।

সংগঠনটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, ভর্তি সহযোগিতা সহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংগঠনটির মাধ্যমে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রয়াস পায়। 

বাবা-মাকে বড় ঘর বানিয়ে দিতে চান সাফজয়ী থুইনুই

থুইনুই মারমা

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির মেয়ে থুইনুই মারমা। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে উঁচিয়ে ধরেছেন সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। ভুটান ও ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জালে বল পাঠিয়েছিলেন এ কিশোরী। তবে এখানেই থেমে যেতে চান না এই পাহাড়ি কন্যা। এগিয়ে যাওয়ার পথে স্বপ্নপূরণের সঙ্গে মা-বাবার স্বপ্নটাও পূরণ করতে চান।

নেপালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেননি থুইনুই। পরীক্ষার হলে বসতে না পারার আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। বলেছেন, ‘ফাইনাল ম্যাচটা আসলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিলাম। চিন্তাভাবনা ছিল শিরোপা জিতে দেশে ফিরব। আসলে শেষ মুহূর্তে যখন বাঁশিটা দিল, তখন অনুভূতিটা ছিল অন্যরকম। কারণ আমি এসএসসি পরীক্ষা দেইনি। দেশের হয়ে খেলবো বলে।’

‘যখন শেষ মুহূর্তের বাঁশিটা বাজলো তখন দেশের কথা, মা-বাবার কথাই সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছিল। আমি যে পরীক্ষাটা দিতে পারিনি, সেই আক্ষেপটাও ভুলে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছে সেটারই ফল পেয়ে গেছি। আফসোস হতো যদি চ্যাম্পিয়ন না হতাম। সেদিক থেকে এখন আর কোনো আফসোস নেই, কারণ এসএসসি পরীক্ষা না দিলেও দেশকে কিছু একটা দিতে পেরেছি।’

পরিবার সম্পর্কে থুইনুই বলেছেন, ‘আমরা তিন বোন, দুই ভাই। আমার বাবা কৃষিকাজ করেন, আর মা বাসায় কাজ করেন। আমার ভাই পড়ালেখা শেষ করেছে, তবে বাসাতেই থাকে। আর বড় দিদির বিয়ে হয়েছে, তিনিও আমাদের সঙ্গেই থাকেন।’

ফুটবলার হওয়ার পেছনেও রয়েছে পরিবারের অবদান। এ নিয়ে থুইনুই জানান, ‘আমার মা-বাবা আমাকে ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ দিতেন খেলাধুলার প্রতি। আমাকে এমনও বলতেন যে, লোকে যা বলে বলুক তাতে কিছুই যায় আসে না। মূলত ২০১৮ সাল থেকে আমার খেলাধুলা শুরু হয়।’

‘আমার মা-বাবার জন্য ভবিষ্যতে অনেককিছুই করতে চাই। নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চাই। এরমধ্যে একটা স্বপ্ন হচ্ছে নিজের মা-বাবাকে বড় একটি ঘর বানিয়ে দিতে চাই। কারণ আমাদের ঘরটা তেমন ভালো নয়।’

সামনেই আসছে মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব সাংগ্রাই। এ উপলক্ষে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন থুইনুই। উৎসবমুখর এই সময়টাতে মা-বাবার সঙ্গে থাকতে চান সাফজয়ী এই পাহাড়ি কন্যা। 

স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কবি অরণ্য চিরান

স্বাধীনতা পুরস্কার অরণ্য চিরান

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ও লেখক অরণ্য চিরান। সমাজ বা জনসেবায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি ছাড়াও আরো ৯ জন এবার স্বাধীনতা পদক প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন।

বাকি পুরস্কারপ্রাপ্তরা হচ্ছেন—স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গারো জনগোষ্ঠীর লেখক-সাহিত্যিকদের মধ্যে অরণ্য চিরান অন্যতম। তাঁর স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে গারো জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উষ্ণ অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। 

গবিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা

আদিবাসী শিক্ষার্থী

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক যোগাযোগ ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার (২ মার্চ) ক্যাম্পাসের আম বাগান চত্বরে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, ‘বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় কী ভূমিকা পালন করছে, এ বিষয়ে দ্রুতই গবেষণার কাজ শুরু করা হবে।’

গবির ইংরেজি বিভাগের ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্লামংউ মারমা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা দিয়ে আলোর পাহাড় গড়বো। আমরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ার পরেও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। কারণ হচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের শিক্ষাবৃত্তি সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এই সুবিধা যদি কয়েকটা বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সকল বিভাগে ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে আমরা টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়ার সুবিধা পেতাম।’

বাংলা বিভাগের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী বুদ্ধেন্দু চাকমা বলেন, ‘যখন আমাদের উপজাতি পরিচয় দেয়া হয়, তখন নিজেকে ছোট মনে হয়। আমাদের আদি পুরুষরা এদেশে বসবাস করে আসছে। আমরা চাই, আমাদের আদিবাসী পরিচয় দেয়া হোক। এতে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারবো।’

আদিবাসী শিক্ষার্থীদের এ মিলনমেলায় নানা ধরনের খেলার আয়োজন করা হয়; যার মধ্যে ছিল হাড়ি ভাঙ্গা, র‍্যাফেল ড্র, বালিশ নিক্ষেপ। বর্তমানে গবিতে ৩৫ জনের অধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। 

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলে খেলছেন সাথী মুন্ডা

সাথী মুন্ডা

লাল সবুজের জার্সি গায়ে দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের হয়ে খেলছেন মুন্ডা জনজাতির মেয়ে সাথী মুন্ডা। প্রচন্ড দারিদ্রের মধ্যে বড় হওয়া এ কিশোরী এখন শুধু পরিবার নয়, বরং প্রতিনিধিত্ব করছেন সমগ্র দেশের প্রতিনিধিত্ব।

অস্তিত্ব সংকটে থাকা মুন্ডা জনজাতির একজন সদস্য হয়েও শ্যামনগর উপকূলের সাথীর হাতে এখন লাল সবুজের পাতাকা। যা স্বাভাবিকভাবেই গর্ব করেছে আদিবাসীদের।

আজ বিকেলে নেপালের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নারী ফুটবল দল অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে লড়েছেন পনেরো বছরের এ কিশোরী।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালীনি এলাকার প্রদীপ মুন্ডা ও প্রতিমা মুন্ডার মেয়ে তিনি। বর্তমানে বিকেএসপিতে ৮ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত এ কিশোরী স্থানীয় বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দু’বছর আগে বিকেএসপিতে পাড়ি জমায়।

সাথীর পিতা প্রদীপ মুন্ডা জানান, মেয়ের অর্জনে তারা শুধুমাত্র পরিবার না, বরং গোটা মুন্ডা জাতি ও এলাকাবাসী দারুণ খুশি।

সাথীর মা প্রতিমা মুন্ডা জানান, অভাবের কারণে তারা স্বামী-স্ত্রী কাজের জন্য দিনের বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। সে সুযোগে স্কুল ফাঁকি দিয়ে সাথী স্থানীয় বিজি কলেজ মাঠে ফুটবল খেলতেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রশিক্ষক মাসুম বিল্লাহর চোখে পড়লে তিনি সাথীর দায়িত্ব নেন। প্রায় দু’বছর প্রশিক্ষণের পর বিকেএসপিতে সুযোগ মিলে যাওয়ায় তারা রীতিমত বিস্মিত হন। এখন মেয়ে দেশের জার্সি গায়ে চড়িয়ে মাঠে নামছেন জেনে আনন্দে ভাসা হারিয়ে ফেলছেন।

সাথীর প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালনকারী মাসুম বিল্লাহ জানান, ২০২৩ সালে সাথী অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে দেশের হয়ে ভারতের সুব্রত কাপে খেলেছে। দেশের হয়ে দ্বিতীয়বারের মত বিদেশ সফরের অংশ হিসেবে বর্তমানে সে নেপালে রয়েছে।

এদিকে, বাবা প্রদীপ মুন্ডা দেশের সকল মানুষের কাছে মেয়ে সাথীর জন‍্য দোয়া ও আর্শিবাদ চেয়েছেন।

পিসিপি’র সাবেক সভাপতি থুইক্যচিং মারমার পিতা আর নেই

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) সাবেক সভাপতি থুইক্যচিং মারমার পিতা ক্যশৈপ্রু মারমা আর নেই। আজ শনিবার (২ মার্চ) ভোর রাত ৪টা ১৫ মিনিটে বান্দরবান সদর উপজেলার ক্রাইক্ষ্যং পাড়ার নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক বার্তায় এ তথ্য জানান।

ক্যশৈপ্রু মারমা ১৯৩৮ সালের ২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালে বান্দরবান সদর উপজেলার রেইছা ইউনিয়নের মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তাঁর তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। থুইক্যচিং মারমা হলেন সবার ছোট।

ইউপিডিএফ সভাপতি প্রসিত খীসা, সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান থুইক্যচিং মারমার পিতা ক্যশৈপ্রু মারমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

© all rights reserved - Janajatir Kantho