হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া দিয়ে ২২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের

 


ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ২২ জন ভারতীয় বাংলাভাষী নাগরিককে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার ( জুন) গভীর রাতে ধোবাউড়া উপজেলার মুন্সিপাড়া সীমান্ত সূর্যপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাদের পুশ-ইন করা হয়।

ধোবাউড়া সীমান্তের মুন্সিপাড়া পয়েন্ট দিয়েপুশ ইনকরা হয় দুই পরিবারের নারী, পুরুষ শিশুসহ ১২ জনকে। এর মধ্যে তিনজন নারী, আটজন পুরুষ একজন শিশু রয়েছে।

অন্যদিকে, হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়েপুশ ইনকরা হয়েছে আরো ১০ জনকে। এর মাঝে জন নারী একজন মেয়ে শিশু রয়েছে।

বিজিবি ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৩টার দিকে ১১৪১ এর এস পিলার ধোবাউড়া মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকায় ১২ জনকে পুশ ইন করা হয়। পরে মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।

অন্যদিকে, রাত ৩টার দিকে হালুয়াঘাটের সূর্যপুর ক্যাম্পের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১০ জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ। এসময় বিজিবির নজরে এলে তাদেরকে হেফাজতে নেয়। আটককৃতদের বিজিবি মুন্সিপাড়া ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এদের বাড়ি সিরাজগঞ্জ, নড়াইল খুলনা জেলায় বলে জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবিকে জানিয়েছেন তারা। 

বিজিবির-৩১ ব্যাটালিয়নের সিইও কামরুজ্জামান জানান, রাতে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়। ক্যাম্পে রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। আটককৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হবে।

 

আগের থেকে ৩৮ কোটি টাকা কমে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রস্তাব

 


গত অর্থ বছরের (২০২৪-২৫) থেকে ৩৮ কোটি টাকা কমে এবারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। 

সোমবার বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচারিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অর্থাৎ চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রস্তাবিত বাজেট কমেছে ৩৮ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সংশোধিত বাজেট দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাজেট ছিল ১ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। -বাসস

দিনাজপুরে সাঁওতাল বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

 


দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পুলিন হেমব্রম (৬০) নামের সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীর একজনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টায় উপজেলাল ১নং এলুয়ারী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রাম থেকে ওই ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিন হেমরম উপজেলার ১নং এলুয়ারী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সুপল হেমরমের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষি শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলাল ১নং এলুয়ারী ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে মৃত ব্যক্তির খালাতো ভাই রমেশ হেমরম ঘুম থেকে উঠে বাড়ির পেছনে যাওয়ার সময় দেখতে পান তার ভাই পুলিন হেমরম গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নিজ বাড়ির পাশে বারান্দার কাঠের পাড়ের সঙ্গে ঝুলে রয়েছেন।

এ সময় চিৎকার করলে আশপাশে লোকজন ছুটে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম খন্দকার মুহিব্বুল বলেন, মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির এক ছেলে আছে। পরিবারের আপত্তি না থাকায় মরদেহটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন।

পাহাড় ধসের পাথরচাপায় ভাঙলো আদিবাসী যুবকের পা

 


বান্দরবানের থানচিতে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে একটি ঘর বিধ্বস্ত এবং পাথরচাপায় আদিবাসী যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে তিন্দু গ্রোপিংপাড়ায় দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত যুবকের নাম চশৈনু মারমা (৩০) তিনি তিন্দু গ্রোপিং পাড়ার বাসিন্দা রেদাকসের সন্তান।

আহত চশৈনু এর সহধর্মীনি নাইম্রাচিং মারমা জানান, ঘটনার সময় তাঁদের পরিবারের তিন সদস্য জুমখেতে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি তাঁর স্বামী জুমে যাননি, ঘরে ছিলেন। হঠাৎ পাহাড় থেকে মাটি পাথর ধসে পড়লে তাঁদের মাচাং ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। সময় পাথরচাপা পড়ে তাঁর স্বামীর বাম পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, পাথরচাপায় চশৈনুর বাম পায়ের নিচের অংশ ভেঙে গেছে। মাথাতেও আঘাত লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্য চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, ‘আহত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাধ্য অনুসারে সহযোগিতা করেছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।

© all rights reserved - Janajatir Kantho