সর্বশেষ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সর্বশেষ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

আদিবাসীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি

 


ঢাকার মতিঝিলেসংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ। না হলে সারা দেশের আদিবাসীরা আন্দোলনে নামবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত আদিবাসীদের ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আদিবাসী শব্দ সংবলিত গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে তিনি ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস আর্টিস্ট ইউনিটি সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে আদিবাসীদের ওপর হামলার বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

অলিক মৃ বলেন, গত ১৫ তারিখে আদিবাসীদের উপর হামলা করা হলেও আজকে ২৪ তারিখ হয়ে গেছে। তবুও সরকারের কোন দৃশ্যমান কর্মসূচি দেখতে পাচ্ছি না। সরকার শুধু একটা বিবৃতি দিয়ে দায় এড়াতে পারেন না।

এখনো গ্রাফিতি পুনর্বহাল করেনি। শুধু দুইজনকে নামমাত্র গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দিয়ে বলা হচ্ছে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার ব্যবহার করা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, গতকাল দেখলাম মিছিলে যারা হামলা করেছে, তারাই অন্য ব্যানার ব্যবহার করে আমাদের শাস্তি চাচ্ছে। হামলার মূলহোতাদের এখনো গ্রেপ্তার করা হয় নাই। তারা অনলাইনে টকশো করে বেড়াচ্ছে। পুলিশ এখনো তাদের ধরতে পারে নাই।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা রিপন চন্দ্র বানাই বলেন, আমরা আদিবাসীরা এ দেশের নাগরিক। আমরা দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আদিবাসী নামটি কখনোই মুছে ফেলে দেওয়া যাবে না। যত চেষ্টাই করা হোক না কেন, আদিবাসীরা তত বেশি গর্জে উঠবে।

আদিবাসী সংবাদমাধ্যম আইপিনিউজের নির্বাহী সম্পাদক সতেজ চাকমা বলেন, এই ভূখণ্ডে আদিবাসীদের উপর নিপীড়ন শুধু আজকের না। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে শুরু করে পাকিস্তান আমল এবং বাংলাদেশেও নিপীড়ন হচ্ছে

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে সংগীত পরিবেশন করেনকৃষ্ণকলি’, ‘সায়ান, ‘মাদল’, ‘বাংলা ফাইভ’, ‘এফ মাইনর’, ‘তুহিন কান্তি দাস’, ‘মরফিন ক্লাউড’, ‘দ্যা রাবুগা’, ‘ভিয়েন্টো’, ‘রেড টুইলাইটব্ল‍্যাক বার্ডস

মিঠুন রাকসাম, পরাগ রিছিল, সান্তআ ত্রিপুরা, কুর্নিকোভা চাকমা, আদ্রিতা চাকমা কবিতা আবৃত্তি করেন। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, শিক্ষা ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক উজ্জ্বল আজিমও সমাবেশে উপস্থিত থেকে সংহতি জানান।

আদিবাসী আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি, ‘আমি আদিবাসী, আমাকে গ্রেপ্তার কর’ পোস্টে গণপ্রতিবাদ

 


আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনরতদের গ্রেপ্তারের দাবির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন আদিবাসীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায়আমি আদিবাসী, আমাকে গ্রেপ্তার করপোস্টে গণপ্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনেসার্বভৌম ছাত্র-জনতারব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় যারাআদিবাসীস্বীকৃতি চাচ্ছেন কিংবা এই দাবি প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবির প্রেক্ষিতে আদিবাসী সচেতন ব্যক্তিরা সরব হয়েছেন।

বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘‘জেলখানায় জায়গা হবে তো?’’

সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা লিখেছেন, ‘‘দরকার কী! আদিবাসীরা তো গ্রেপ্তার এবং কারাগারেই আছে। বরং যারা গ্রেপ্তারের দাবি করছে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা করলেই রাষ্ট্র নিরাপদ হবে।’’

প্রতিবাদ জানিয়ে তরুণ কবি লেখক নিগূঢ় ম্রং লিখেছেন, ‘‘আমি আদিবাসী, আমাকে গ্রেফতার করুন।’’

হোশেয় সাংমা নামের একজন লিখেছেন, ‘‘আবার নতুন করে সংগ্রাম শুরু করতে হবে তাহলে দেখছি। যায় যবে যাক প্রাণ।’’

 

তিন পার্বত্য জেলায় বাফুফের বিশেষ কর্মসূচি

 


তিন পার্বত্য জেলায় বিশেষ এক ফুটবল কর্মসূচি করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার সুবিধাবঞ্চিত ৪৫ নারী ফুটবলারদের অংশগ্রহণে রাঙ্গামাটির চিং হ্লা মং চৌধুরী মারি স্টেডিয়ামে পাবর্ত্য অঞ্চলে নারীর ক্ষমতায়নে ফুটবলের ভূমিকা শীর্ষ এই প্রোগাম করছে বাফুফে।

আজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসক বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) এর সামাজিক দায়বদ্ধতা ইউনিটের প্রধান নেইল স্টা মারিয়া।

কর্মশালা শেষে ৪৫ জন নারী খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি প্রীতি ম্যাচ হবে। থেকে বাছাইকৃত ১২ জন ফুটবলার আগামী বছর পাবেন শিক্ষা বৃত্তি। ৪৫ জন নারী খেলোয়াড়কে দেয়া হবে শিক্ষা উপকরণ।

জন প্রশিক্ষক দিন ব্যাপী এই আবাসিক ক্যাম্প করবে। দিনব্যাপী শিশুদের সেফগার্ডিংয়ের পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী প্রশিক্ষকদের জন্য রয়েছে একদিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা।

© all rights reserved - Janajatir Kantho